কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পর “এক ব্যক্তি এক পদ” ফর্মুলায় বিজেপি রাজ্য সভাপতির পদে থাকতে পারবেন না সুকান্ত মজুমদার। রাজ্য সভাপতির পদে নতুন মুখকে বসানো এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। একুশের বিধানসভা থেকে চব্বিশের লোকসভা ভোট, একের পর এক নির্বাচনে বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। সেই জায়গা থেকে দুর্বল সংগঠনকে চাঙ্গা করতে এখন সুকান্ত মজুমদারের আসনে কাকে বসানো হবে তা নিয়ে জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। একইসঙ্গে বঙ্গ ইউনিটের দ্বিতীয় শীর্ষ সাংগঠনিক পদে কে বসতে চলেছেন? অর্থাৎ বঙ্গ বিজেপির পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদে কার শিকে ছিঁড়বে সেটা নিয়েও চলছে আলোচনা। এই পদে অভিতাভ চক্রবর্তী যে আর থাকছেন না তা মোটামুটি নিশ্চিত।

প্রসঙ্গত, সর্বভারতীয় কিংবা রাজ্যগুলিতে এই একটি মাত্র পদ রয়েছে যেটিতে কোনও ভোটাভুটি ছাড়াই সরাসরি মনোনীত করা হয়। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) বাছাই করা ব্যক্তিরাই এই পদে বসেন। গত বিধানসভার আগে থেকে এখনও পর্যন্ত বঙ্গ বিজেপির এই গুরুদায়িত্বে রয়েছেন অমিতাভ চক্রবর্তী। এই পর্বের মাঝেই পঞ্চায়েত ও পুরসভা ভোটেও বিজেপি মুখ থুবড়ে পড়েছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর সহ একাঝাঁক বিজেপি নেতা-মন্ত্রীরা প্রকাশ্যে ও দলের অন্দরে অমিতাভবাবুর অপসারণে সরব হয়েছিলেন। খোদ কলকাতায় দলের সংগঠন সম্পাদকের বিরোধিতায় বহুবার আন্দোলন-বিক্ষোভ হয়েছিল। এখন লোকসভা ভোটের ময়নাতদন্তে অমিতাভবাবুর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। খোদ রাজ্য সভাপতি ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, সংগঠনের দায়িত্ব থাকা নেতারা হাওয়া খেয়ে ঘুরে বেড়াবে, আর বিপর্যয়ের যাবতীয় দায় তাঁকে বইতে হবে। এমনটা তিনি মেনে নেবেন না। তাছাড়া অমিতাভ চক্রবর্তীর আমলে বঙ্গ বিজেপি ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত।


এদিকে দিল্লি থেকে ফিরে ”কিছু বলব না” বলেও ফের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য দিলীপ ঘোষের! দিল্লি থেকে ফেরার পরই সংবাদ মাধ্যমের সামনে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ”কোনও বাইট দেব না। যা বলার এবার থেকে পাবলিককে বলব।” আর তাঁর এই মন্তব্য নিয়েই এবার নতুন করে জল্পনা উসকে উঠেছে। ”যা বলার এবার থেকে পাবলিককে বলব” এর মধ্যে দিয়ে কীসের ইঙ্গিত দিলেন দিলীপ ঘোষ? তা নিয়েই এবার নতুন জল্পনা।
