লোকসভা ভোটের ফলাফল বেরোনোর পর দেশজুড়ে “ফিল গুড” আবহাওয়া থাকলেও বাংলায় ফের একবার মুখ থুবড়ে পড়েছে কংগ্রেস। একুশের বিধানসভায় বামেদের সঙ্গে জোট করে শূন্য পেয়েছিল কংগ্রেস। আর সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে একটি মাত্র আসন পেয়েছে তারা। বহরমপুর থেকে গো-হারা হেরেছেন খোদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।

সূত্রের খবর, বাংলায় ভোটে বিপর্যয়ের পর পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে অধীর রঞ্জন চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন। তিনি দলীয় হাইকমান্ডকে বলেছেন, “দয়া করে আমার পদত্যাগ গ্রহণ করুন”। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে আপাতত কাজ চালিয়ে যেতে বলেছে হাইকমান্ড।

এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বর্ধিত বৈঠকে ঠিক হয়েছে, রাজ্যগুলিতে কংগ্রেসের খারাপ ফলাফল বিশ্লেষণ করতে এআইসিসি-র পক্ষ থেকে বিশেষ টিম যাবে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বাংলাতেও এআইসিসি-র টিম আসবে। এই টিমের নেতৃত্বে ওয়ার্কিং কমিটির বর্ষীয়ান নেতারা থাকবেন।

প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সদস্য, জেলা সভাপতি, শাখা সংগঠনের নেতৃত্ব-সহ বিধানভবনের বিভিন্ন স্তরের নেতার সঙ্গে কথা বলে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে সার্বিক রিপোর্ট সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধীদের কাছে জমা দেবে এই টিম। এছাড়া এআইসিসি-র তরফে বাংলার ইনচার্জ গুলাম মিও নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে রিপোর্ট দেবেন। পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে এই সার্বিক রিপোর্ট পাওয়ার পরেই কংগ্রেস হাইকম্যান্ড বিধানভবনের নেতৃত্বে বদল করবেন কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর।

এআইসিসি-র এক সদস্যের কথায়, “এখন ফিল-গুড আবহ রয়েছে। সেখানে তড়িঘড়ি কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা নেই। অধীর চৌধুরী গত লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা ছিলেন। ফলে আগামিদিনে যদি প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদে কোনও বদল হয়ও, তা সময় নিয়ে বিশদে আলোচনা করে হতে পারে। লোকসভার প্রথম অধিবেশন হয়ে যাওয়ার পরে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।”

অধীর রঞ্জন চৌধুরী ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত লোকসভায় কংগ্রেসের বিরোধী দলের নেতা ছিলেন। এবার তিনি বাংলার বহরমপুর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, কিন্তু তৃণমূল প্রার্থী তথা তারকা ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান অধীরকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেছেন।
