কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে ইমেলে দায়ের হওয়া অভিযোগের বিস্তারিত রিপোর্ট আদালতে পেশ করল পুলিশ। আদালতে পেশ করা পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে অভিযোগের চারভাগের এক ভাগেরও সত্যতা নেই। অথচ সেই অভিযোগকে সারাদেশের সামনে বড় আকারে তুলে ধরে বাংলাকে ফের অপমানিত করছে বিজেপি। বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সামনে বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভেই প্রমাণ হয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ সাজানো, দাবি তৃণমূলের।

৬ জুন হাইকোর্ট রাজ্য ও কেন্দ্রকে সব ধরনের হিংসার ঘটনায় যৌথভাবে পদক্ষেপ নিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দেয়। সেই মতো মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করে রাজ্য পুলিশ। ই-মেলে ৫৬০টি অভিযোগ জমা পড়েছে। তার মধ্যে ১০৭টি তে এফআইআর দায়ের হয়েছে। ৯২টি ক্ষেত্রে বিচারযোগ্য অপরাধ পাওয়া যায়নি। ১১৪টি ক্ষেত্রে অনুসন্ধান করেও অপরাধ খুঁজে পাওয়া যায়নি। ৮৮টি ক্ষেত্রে ভুয়ো অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ১৮টি অভিযোগ ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়। ৩টি অভিযোগ অসম্পূর্ণ। ১৩৮টি অভিযোগের ক্ষেত্রে খতিয়ে দেখার কাজ চালাচ্ছে পুলিশ।

হিংসার অভিযোগে রাজ্যে সবথেকে বেশি সরব হয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে রাজ্যে কেন্দ্রের প্রতিনিধিদল এলে মঙ্গলবার একাধিক জায়গায় বিজেপি কর্মীরাই তাঁদের সামনে বিক্ষোভে সরব হন। এরপরই কার্যত বিজেপির হিংসার অভিযোগকে ‘সাজানো’ দাবি করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ কুণাল ঘোষের দাবি, “আজকে তথাকথিত কেন্দ্রের টিম যেখানে দেখতে যাচ্ছে, বিজেপির আরেকদল লোক বলছে ওরা নির্যাতিত নয়। ওরা সাজানো। গোটা বিজেপিটাই একটা সাজানো নাটকের উপর দাঁড়িয়ে চলছে। সন্দেশখালি হোক বা ডায়মন্ড হারবার, বিজেপির ভিতরের লোকরাই বলছে যাদেরকে সামনে রেখে এইসব গল্প সাজানো হচ্ছে তারা আসলে কেউ নির্যাতিত নয়। তারা সাজানো। তাহলে এসব অভিযোগ বিজেপি শুনুক।”

মঙ্গলবার রাজ্যের জমা দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে শান্তি বজায় রাখতে রাজ্যের পদক্ষেপ জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি হরিশ টেন্ডন ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
