আজ ইউরো কাপের অভিযান শুরু করতে চলেছে পর্তুগাল। সামনে চেক প্রজাতন্ত্র। রোনাল্ডো ম্যাজিক দেখতে মুখিয়ে ফুটবলবিশ্ব। মঙ্গলবার রাতে মাঠে নামলেই নজির গড়বেন তিনি। বিশ্বের প্রথম ফুটবলার হিসাবে খেলে ফেলবেন হাফ ডজন ইউরো! যদিও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর নজর ব্যক্তিগত রেকর্ডে নয়। বরং দেশের জার্সিতে আরও একটা ইউরো জেতার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন সিআর সেভেন।

চেক প্রজাতন্ত্র ম্যাচ দিয়ে ইউরো অভিযান শুরু করবে পর্তুগাল। আট বছর আগের ইউপো চ্যাম্পিয়ন দলের মধ্যে রোনাল্ডো ছাড়া রয়েছেন রুই প্যাট্রিসিও, পেপে এবং দানিলো। বরং গনসালো র্যামোস, নুনো মেন্ডেস, আন্তোনিও সিলভা, দিয়েগো জোতা, জোয়াও নেভেসের মতো একঝাঁক তরুণ মুখের উপর ভরসা রেখেছেন বর্তমান কোচ রবার্তো মার্টিনেজ। তবে চল্লিশ ছুঁইছুঁই রোনাল্ডো-ই যে এই দলটার মুখ্য আকর্ষণ, সেটা জার্মানিতে পৌঁছেই টের পাচ্ছেন পর্তুগিজরা। প্র্যাকটিসের সময় শুধু রোনাল্ডোকে দেখার জন্যই মাঠ ভরিয়ে ফেলছেন বেশ কয়েকশো ফুটবলপ্রেমী। নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে পর্তুগিজ মহাতারকার সঙ্গে সেলফি তোলারও চেষ্টা চলছে জোরকদমে। তাঁকে ঘিরে এই উন্মাদনা উপভোগ করছেন রোনাল্ডো নিজেও।


হাঁটুর বয়সি সতীর্থদের মধ্যেও সিআর সেভেনের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। তাঁদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্র্যাকটিস করছেন রোনাল্ডো। আবার হাসিঠাট্টাতেও মেতে উঠছেন। প্রথম ম্যাচের আগে অনুশীলন ম্যাচে গোল করার পর রোনাল্ডোকে তো রীতিমতো কাঁধে নিয়ে উল্লাস করতে দেখা গেল পর্তুগিজ ফুটবলের নতুন প্রজন্মকে। সব মিলিয়ে ইউরো অভিযানের আগে দারুণ মেজাজে রোনাল্ডো ও তাঁর সতীর্থরা।

চেক প্রজাতন্ত্রকে অবশ্য হালকাভাবে নিতে রাজি নন রোনাল্ডোদের কোচ। মার্টিনেজের সাফ কথা, ‘‘আমরা একটা স্বপ্ন নিয়ে জার্মানিতে এসেছি। সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। চেক প্রজাতন্ত্র যথেষ্ট শক্তিশালী। ওদেরকে হালকাভাবে নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। বরং সমীহ করছি।’’


রোনাল্ডো আবার জার্মানিতে পা রেখেই জানিয়েছেন, পর্তুগাল ফুটবলের তরুণ প্রজন্ম ইউরো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করার যোগ্যতা রাখে। তিনি নিজেও যে মাঠে নামার জন্য পুরোপুরি তৈরি, সেটাও সাফ জানিয়েছেন। মঙ্গলবার এই গ্রুপের অন্য একটি ম্যাচে জর্জিয়ার মুখোমুখি হবে তুরস্ক।

আরও পড়ুন- আত্মঘাতী গোল, জয় দিয়ে ইউরো কাপের অভিযান শুরু ফ্রান্সের
