নিজের গদি সামলাতে ‘দিল্লির গুডবুকে’ থাকার চেষ্টা! মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিতেই রাজ্যপালকে তোপ কুণালের 

রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগ তুলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। শুক্রবার সেই ইস্যুতেই রাজ্যপালকে একহাত নিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কুণাল বলেন, রাজ্যপাল যে কথা বলছেন তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন, বিরোধীদের তথা বিজেপির (BJP) কথা। বিজেপি লোকসভা ভোটে পরাজয়ের পর হারের গ্লানি ভুলতে একের পর এক মিথ্যাচার করছে, তারই সঙ্গত দিচ্ছেন রাজ্যপাল। এমনকি তাঁর বুকেও আমরা পদ্মফুলের ব্যাচ লাগিয়ে একাধিকবার ঘুরতে দেখেছি। আর সেকারণেই রাজ্যপাল লাগাতার পক্ষপাতদুষ্ট কথাবার্তা বলছেন।

এরপরই কুণাল মনে করিয়ে দেন আসলে রাজ্যপালের চেয়ার আগলাতে দিল্লির গুডবুকে থাকতে মরিয়া সি ভি আনন্দ বোস। তাঁর বিরুদ্ধে এমনকিছু অভিযোগ আছে যার পরিপ্রেক্ষিতে ফৌজদারি মামলা হলে তিনি যে বড়সড় বিপাকে পড়তে পারেন তা আঁচ করেই নিজের গদি সামলাতে উঠেপড়ে লেগেছেন রাজ্যপাল। আর সেকারণেই কিছুতে পিছপা হচ্ছেন না। এরপরই কুণাল বলেন, আসলে বিজেপির ভরাডুবির ফলে দলের কর্মী সমর্থকরা তাদের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। এসব থেকে নজর ঘোরাতেই একের পর এক মিথ্যাচার করছে বিজেপি। যার সাধ দিচ্ছেন রাজ্যপাল।

মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে রাজ্যপাল আরও জানিয়েছেন, ভোটের পর রাজ্যের একাধিক জায়গায় হিংসা দেখা গিয়েছে। বিরোধী দলের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারকেই এর প্রতিকার করতে হবে। এর মধ্যে কর্মীদের নিয়ে রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তিনি দেখা করতে পারেননি। রাজভবনের গেটেই তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ। এরপর রাজ্যপাল নিজেই কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন। বোস নিজেও অভিযোগ করেন, রাজভবনে কলকাতা পুলিশের প্রহরায় তিনি নিরাপদ বোধ করছেন না। এই পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যপাল চিঠি দিতেই তাঁর মিথ্যাচারের রহস্য ফাঁস করলেন কুণাল।


Previous articleজবরদখল সরকারি খাস জমি ফেরাতে সব থানাকে পদক্ষেপের নির্দেশ রাজ্য পুলিশের ADG-র
Next articleRJD-র দিকে ছোড়া তির ফিরল নিজেদের দিকেই! NEET নিশানায় নীতীশের JDU