তিথি মেনে শনিবার সকালে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা (SnanYatra in Puri) উৎসব শুরু পুরীতে । ওড়িশার জগন্নাথ ধাম মন্দিরের স্নান কক্ষে রীতি মেনে ঐতিহ্যবাহী আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১০৮ কলসিতে সুগন্ধি জল দিয়ে চতুর্ধামূর্তিকে স্নান করানোর পালা চলছে । প্রথমে জগন্নাথ (Jagannath), তারপর বলরাম এবং শেষে সুভদ্রার পুজো করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্নানের জন্য ৷ মোটা সিল্কের দড়ি দিয়ে মূর্তিগুলিকে বাধা হয়েছে যাতে কোন দুর্ঘটনা না ঘটে। এই সময় মূর্তির যাতে কোন ক্ষতি না হয় সেই কারণে দ্বৈতাপতি সেবায়েতরা একটি বিশেষ ধরণের বউলা কথা পেস্ট ব্যবহার করেন। অনুষ্ঠানের পর গজাননের পোশাকে সজ্জিত হবেন জগন্নাথ । সকাল থেকে কাতারে কাতারে মানুষের ভিড় মন্দির চত্বরে। এই দিনটি জগন্নাথ দেবের জন্মদিন হিসেবেও পালিত হয়। এরপর আগামী একপক্ষকালের জন্য বন্ধ হবে পুরীর মন্দিরে (Puri Temple) দরজা।

স্নান যাত্রা উপলক্ষে সকাল থেকে ভিড় বারছে হুগলির মাহেশে। এবছর স্নানযাত্রা ৬২৮ বছরে পা দিল। দেড় মন দুধ এবং ২২ ঘড়া গঙ্গাজলে জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রাকে স্নান করানো হচ্ছে। সকালে মঙ্গল আরতি, নিমকাঠের দাঁতনের পর, সুগন্ধি, দুধ, গঙ্গাজল-সহ পঞ্চদ্রব্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হল জগন্নাথদেবের অভিষেক স্নান। এরপর বিশেষ পুজো এবং ভোগ নিবেদন অনুষ্ঠানের পর রীতি মেনে জগন্নাথদেবকে ১৫ দিনের জন্য রুদ্ধ দ্বারে রাখা হবে। কবিরাজ তার চিকিৎসা করে সুস্থ করে তুলবেন বলে ভক্তদের মনে বিশ্বাস। ৪৭ বছর পর আবার মোক্ষ যোগ থাকায় স্নানযাত্রার পরেই জগন্নাথকে গর্ভ গৃহে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না আজ। সারাদিন গজবেশে ভক্তদের দর্শন দেবেন জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রা। সন্ধ্যারতির পর বিগ্রহ মন্দিরের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হবে।

১২ বছর অন্তর নব কলেবর হলেও মাহেশে বিগ্রহের কোনও পরিবর্তন করা হয় না। শুরু থেকে একই বিগ্রহে পুজো করা হচ্ছে। একইভাবে স্নানযাত্রা উৎসব পালিত হচ্ছে মায়াপুরেও।
