পরীক্ষা নিয়ে শতাব্দী সেরা কেলেঙ্কারি। বারবার বিভিন্ন প্রবেশিকায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ। বাতিল হচ্ছে একের পর এক পরীক্ষা। এই সময় নয়া নিদান জারি করে নজর ঘোরাতে তৎপর কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের (Central Government Employee) অফিসে ঢোকার সময় বেঁধে দিল মোদি সরকার। সূত্রের খবর, এক মিনিট দেরি করলেই ‘শাস্তি’। রিপোর্ট অনুযায়ী, কেন্দ্রের কর্মী এবং প্রশিক্ষণ বিভাগ এই নিয়ম চালু করেছে। সিনিয়র অফিসারদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।রিপোর্ট অভিযায়ী, প্রতি দিন সকাল ৯টার মধ্যে সরকারি কর্মচারী এবং আধিকারিকদের সংশ্লিষ্ট দফতরে ঢুকতে হবে। ‘গ্রেস টাইম’ ১৫ মিনিট দেওয়া হয়েছে। *কেন্দ্রীয় দফতরে ঢোকার সময় সকাল ৯টা*। ১৫ মিনিট দেরি হলেও তাঁরা দফতরে ঢুকতে পারবেন। কিন্তু এর চেয়ে বেশি দেরি করলে আর অফিসে ঢোকা যাবে না।

বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট দফতরে কর্মীদের উপস্থিতি নথিভুক্ত করাতে হবে। দফতরে ঢোকার সময়ে নিজের পরিচয়পত্র দিয়ে ‘পাঞ্চ’ করাতে হবে। কিন্তু ১৫ মিনিট দেরিতে ‘পাঞ্চ’ করালে তাঁর উপস্থিতিতে দেরি হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে।

এখানেই শেষ নয়। কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী (Central Government Employee) নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দফতরে না পৌঁছলে ‘ক্যাজ়ুয়াল লিভ’ থেকে অর্ধদিবস কাটা যাবে বলেও সূত্রের খবর। অর্থাৎ, ২দিন দেরি হলেই ‘নষ্ট’ হবে একটি ছুটির দিন। এ ছাড়াও কোন দফতরে কোন কর্মচারী কখন আসছেন, কখন যাচ্ছেন, সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের তার দিকে নজর রাখতেও বলা হয়েছে।

সরকারি বিভিন্ন দফতরেই (Department) কর্মীদের কাজের সময়ের হিসেব রাখা হয় না। বায়োমেট্রিক পদ্ধতির উপস্থিতি নথিভুক্ত করার নিয়ম আগেই চালু ছিল। কিন্তু কোভিডের সময় থেকে সেই কড়াকড়িতে কিছুটা শিথিলতা আসে। অভিযোগ, তার পর থেকে অনেক আধিকারিক সেই নিয়ম আর আগের মতো করে মানেননি। এবার কেন্দ্রের তরফে নতুন করে নিয়মের কড়াকড়ি বাড়ানো হচ্ছে। কিন্তু এতে কর্মীদের অধিকার বজায় থাকবে কি না তা নিয়েও সংশয় হচ্ছে।
