রয়েছে রামমন্দির-সীতাকুণ্ড, বাংলার অযোধ্যাতেও বিপর্যয় বিজেপির!

রামমন্দির ইস্যুকে সামনে রেখে হিন্দুত্ববাদের জিগির তুলে বছরের বছর রাজনীতির ময়দানে ফায়দা তুলেছে বিজেপি। কিন্তু এবার লোকসভা ভোটের ফলাফল সেই সব হিসেবকেই উলটে পালটে দিয়েছে। উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় (Ayodhya) রামলালার প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সকলেরই ধরে নিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশ সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দেবে বিরোধীদের। কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন ঘটেনি। বরং, যোগী রাজ্যের অযোধ্যা সহ দেশজুড়ে রামায়ণের সঙ্গে জড়িত পৌরাণিক ও ধর্মস্থানগুলিতেই সবচেয়ে বেশি ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। আসলে রামমন্দির ইস্যু যে কোনওভাবেই ভোট ফ্যাক্টর হয়নি ফৈজাবাদে তা পরিষ্কার হয়ে যায় ফলাফলে। ৩০ হাজার ভোটে বিজেপিকে হারিয়ে ফৈজাবাদে (অযোধ্যা যে লোকসভার অন্তর্গত)জিতে যান সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী।

এবার তাকানো যাক বাংলার দিকে। এই বাংলাতেও রয়েছে এমন একটি প্রাচীন রামচন্দ্রের মন্দির, যেখানে রয়েছে সীতাকুণ্ড, বাংলার সেই অযোধ্যাতে ((Ayodhya) নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের একটি পরিচিত এলাকা হলো অযোধ্যা। যা আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে অবস্থিত চন্দ্রকোণা বিধানসভার অযোধ্যা। এখানেও গো-হারা বিজেপি! ওই এলাকাতেও লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। এলাকাবাসীদের দাবি, ধর্মের নামে বিজেপির রাজনীতি নয়, বরং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প থেকে এলাকার উন্নয়নকেই মানুষ ইভিএমে প্রাধান্য দিয়েছে।

ইতিহাস বলছে, রাজা চন্দ্রকেতুর আমলে চন্দ্রকোনার এই এলাকায় রামচন্দ্রের মন্দির থেকে শুরু করে সীতাকুণ্ড সমস্ত কিছুই ছিল। তখন থেকেই এই জায়গার নাম অযোধ্যা। বাংলার এই অযোধ্যায় ১০৬২ জন ভোটার। এবার লোকসভা ভোটে ভোট পড়েছে ৯২৫টি। যার মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ৪৬৭টি, বিজেপি ৪১১টি, সিপিএম ২৪টি। বিজেপিকে পিছনে ফেলে ৫৬ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল। ফলে যোগীর অযোধ্যার পাশাপাশি বাংলার অযোধ্যাতেও মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি!

আরও পড়ুন: কোচবিহারে ফের বিজেপিতে ভাঙন! বীরভূমেও হাতছাড়া হওয়ার পথে পঞ্চায়েত

 

Previous articleআজ ইউরোতে হাইভোল্টেজ ম্যাচ, মুখোমুখি ইতালি বনাম ক্রোয়েসিয়া
Next articleহলং বাংলোর অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্যে ইঁদুর! জমা পড়লো তদন্ত রিপোর্ট