কারও জমিদারি নয়! বেআইনি পার্কিং নিয়ে কড়া অবস্থান মুখ্যমন্ত্রীর, বার্তা বিপজ্জনক বাড়ি-পুকুর ভরাট নিয়েও

বেআইনি পার্কিং নিয়েও কড়া অবস্থান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বেআইনি পার্কিং লট অবিলম্বে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি জানান, “যদি উপযুক্ত জায়গা হয় এবং অন্য কোনও সমস্যা না থাকে, তাহলে আইনিভাবে আমরা পার্কিং জোন করে দেব।” পার্কিং সমস্যা মেটাতে আলিপুরের ‘সম্পন্ন’র মতো বেশ কয়েকটি পার্কিং জোন (Parking Zone) তৈরির পরিকল্পনার কথাও জানান মুখ্যমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার, নবান্ন সভাঘরের বৈঠকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বেআইনি পার্কিং ইস্যুতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “নেতা এবং পুলিশকে টাকা দিয়ে অনেক জায়গায় বেআইনিভাবে পার্কিং জোন তৈরি করেছে।” মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, “সবচেয়ে বেশি বেআইনি পার্কিং রয়েছে বিজেপির।” বেআইনি পার্কিং জোন (Parking Zone) ভেঙে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যদি উপযুক্ত জায়গা হয়, অন্য কোনও সমস্যা না থাকে, তাহলে আইনিভাবে আমরা পার্কিং জোন করে দেবেন।”

মমতার কথায়, “ফুটপাথের উপর কেউ কেউ পার্কিং করছেন। কারও জমিদারি নয়। বেআইনি পার্কিং ভেঙে যাবে। কলকাতা, রাজারহাট, হাওড়া, আসানসোল, দুর্গাপুরে যেখানে পার্কিং হচ্ছে, সেখানে আদৌ পার্কিংয়ের উপযুক্ত জায়গা রয়েছে কিনা তা দেখতে হবে। যদি পার্কিং করা সম্ভব হয় তবে টেন্ডার হবে। সেন্ট্রাল টেন্ডার হবে। মেয়র নিজে কাজ খতিয়ে দেখবেন। ৫ জনের কমিটি তৈরি করে দিয়েছি। তাঁরাই দেখে রিপোর্ট দেবেন। পুলিশ কমিশনারেটকেও সঙ্গে রাখতে হবে। ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে। ‘সম্পন্ন’র মতো পার্কিং জোন তৈরি হবে। দেখে নাও, কারা কারা করেছে বেআইনি পার্কিংয়ের বন্দোবস্ত। বেআইনিভাবে টাকা নিতে দেব কেন?” কলকাতায় কতগুলি বেআইনি পার্কিং জোন রয়েছে তা জনানোর জন্য পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে রাজারহাট, নিউটাউন, হাওড়া, আসানসোল ও দুর্গাপুরে কত বেআইনি পার্কিং রয়েছে তারও হিসেব চেয়েছেন।

মমতা জানান, ইতিমধ্যেই পার্কিং সমস্যা মেটাতে আলিপুরে ‘সম্পন্ন’ তৈরি হয়েছে। হাতিবাগান ও বেহালাতেও এই ধরনের পার্কিং জোন তৈরির পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।

বেআইনি পার্কিংয়ের পরে বিপজ্জনক বাড়ি নিয়েও এদিনের বৈঠকে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, “বেআইনি বাড়ি, বিপজ্জনক বাড়ি ঠিক না করা হলে বাড়ি অধিগ্রহণ করা হবে।” একইসঙ্গে জানান, “বিপজ্জনক বাড়ি ঠিক করার জন্য তহবিল গড়তে হবে।” রাস্তা বানানোর পরে পাঁচ বছর না চললে ঠিকাদারকে ব্ল্যাক লিস্ট করার পাশাপাশি জরিমানা করা কথাও বলেন মমতা।

পাশাপাশি পুকুর ভরাট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “গতকাল আমাকে বলেছে, কোনও একটা পলিটিকাল পার্টি পুকুর ভরাট করে বাড়ি করে নিয়েছে। আসানসোলে এমনটা হয়েছে। পুকুর ভরাট করে এটা করেছে আরএসএস। ল্যান্ড রেকর্ডে যদি পুকুর থাকে তাহলে সেই পুকুর ভরাট করল কীভাবে? তৃণমূলের পার্টি অফিস যদি ভেঙে দেওয়া হয়, তাহলে ওই পার্টি অফিস ভেঙে দেওয়া হবে না কেন?”





Previous articleদলবদলে ফের চমক লাল-হলুদের, ইস্টবেঙ্গলে এবার মাদিহ তালাল
Next articleনজিরবিহীন! স্বাধীনতা দিবসে মহিলাদের জন্য ‘বিশেষ উপহার’ ঘোষণা রাজ্যের