দখলমুক্তি নিয়ে বিরোধীদের মিথ্যাচারের জবাব প্রশাসনের

বিরোধীদের কুৎসা, গায়ের জোরে হকার উচ্ছেদ:-

প্রশাসনের বক্তব্য, গাজোয়ারির কোনও প্রশ্নই নেই। যারা নির্দিষ্ট মাপের বাইরে ফুটপাথে জায়গা আটকে রেখেছেন বলে পথচারীদের সমস্যা হচ্ছে, নিয়ম ভেঙে বা অনুমতি ছাড়া যারা ফুটপাথ দখল করেছেন, যাত্রাপথ আটকেছেন, যত্রতত্র ডালা সাজিয়েছেন, ত্রিপল টাঙিয়ে দোকান বানিয়েছেন, ফুটপাথের উপরে রান্নার ব্যবস্থা করে হোটেল খুলে বসেছেন, জনগণের স্বার্থে তাদের সরে যেতে বলা হয়েছে।

বিরোধীদের কুৎসা, আগে থেকে খবর না দেওয়ার:-

প্রশাসনের বক্তব্য, পুলিশ মাইকিং করে স্থানীয় স্তরে খবর পাঠিয়ে, নিজেরা গিয়ে, হকার নেতাদের জানিয়ে দখলদারদের উঠে যেতে বলেছেন। অনেকেই উঠে গিয়েছেন। যারা বার্তা পেয়েও দখলমুক্ত করেননি পুলিশ গিয়ে তাদের সরিয়ে দিয়েছে।

বিরোধীদের কুৎসা, হকারদের সম্পত্তি নষ্ট করার:-

প্রশাসনের বক্তব্য, পুলিশ কোথাও দখলদারদের সম্পত্তি নষ্ট করেনি। জিনিসপত্র সরিয়ে দিয়েছে। যেখানে লোহার বিম অথবা কাঠ-বাঁশ দিয়ে কাঠামো তৈরি করা হয়েছিল সেগুলি ভাঙতে সাহায্য করেছে। কারণ একসঙ্গে দ্রুত এক জায়গায় কাঠামো ভাঙতে গেলে যে ধরনের যন্ত্রপাতি বা মেশিনের প্রয়োজন দখলদারদের পক্ষে তা জোগাড় করা সম্ভব নয়। পুলিশ সাহায্য করেছে মাত্র।

দখলদারদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিরোধীদের কুৎসা:-

প্রশাসনের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী সোমবার নবান্নের বৈঠক থেকেই এবিষয়টি স্পষ্ট ব্যাখ্যা করে বুঝিয়েছেন। উদাহরণ দিতে গিয়ে সল্টলেক সেক্টর ফাইভের বেশ কিছু ফুটপাথ দখল করে থাকা খাবারের দোকানের প্রসঙ্গে বলেছেন, তাদের সরিয়ে পৃথক জায়গায় ফুডজোন করার কথা ভাবা যেতে পারে। কিন্তু আগে বেআইনি দখলদারদের সরতে হবে। একইসঙ্গে এটাও বাস্তব, যারা নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট জায়গায় হকারি করছেন তাদের নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু নিত্য-নতুন যারা ফুটপাথ, রাস্তা, ব্রিজ দখল করছেন সমস্যাটা তাদের নিয়ে। প্রতিদিন নতুন জায়গা দখল হবে আর তাদের পূনর্বাসন দিতে হবে এই দাবিও যথার্থ নয়। প্রশাসনকে তাই আরও সতর্ক ও সজাগ থাকবে। যাতে ভবিষতে আর দখলদার হঠাতে না হয়।

Previous articleআফগানিস্তানের স্বপ্নভঙ্গ, ইতিহাস গড়ে ফাইনালে প্রোটিয়া বাহিনী
Next articleহকার সমস্যা সমাধানে আজই নবান্নে বৈঠক, বড় সিদ্ধান্তের পথে মুখ্যমন্ত্রী