মোবাইল চুরির অভিযোগ! বৌবাজারের হস্টেলে যুবককে পিটিয়ে খুন

মোবাইল (Mobile) চুরির অভিযোগে যুবককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ! এবার খাস কলকাতাতেই (Kolkata) গণপিটুনির জেরে মৃত্যু হল এক যুবকের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বউবাজারের (Bowbazar) নির্মলচন্দ্র স্ট্রিটের একটি হস্টেলে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম এরশাদ আলম। ঘটনায় ইতিমধ্যে ওই হস্টেলের (Hostel) ১৪ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করছে পুলিশ।

সূত্রের খবর, শুক্রবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ ওই যুবককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে পুলিশ এবং কয়েকজন ব্যক্তি৷ হাসপাতালে সূত্রে খবর, যুবকের শরীরের সর্বত্র আঘাতের চিহ্ন ছিল৷ পাশাপাশি রক্তচাপ-সহ শরীরের একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত বেলা ১২.৪৫ মিনিট নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর৷ শনিবার ওই যুবকের দেহের ময়নাতদন্ত হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর৷ তারপরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার হস্টেলের এক আবাসিকের মোবাইল ফোন চুরি যায়। এরপরই থানায় দায়ের করা হয়েছিল অভিযোগ। শুক্রবার সকালে হস্টেলের পাশে এক দোকানের মালিক ছাত্রদের জানান, ওই লোকটি এলাকায় ঘুরঘুর করছেন। অভিযোগ, এমন কথা শোনার পরই হস্টেলের সামনে ফুটপাথ থেকে ওই ব্যক্তিকে মারতে মারতে হস্টেলে ধরে নিয়ে যান ছাত্ররা।

এরপরই ছাত্রাবাসে গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মুচিপাড়া থানার পুলিশ৷ ঘটনাস্থলে যান কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল-ও৷ সেই সময় হস্টেলে ঢোকার মূল গেটে তালা দেওয়া ছিল বলে খবর৷ এরপর পুলিশ যখন হস্টেলের ভিতরে ঢোকে, তখন ওই যুবককে কার্যত অচৈতন্য অবস্থায় নীচে নামিয়ে আনে আবাসিক ছাত্ররাই৷ এর পরই তাঁকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ এরপরই মৃতের স্ত্রীর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পরই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের পায়ে হস্টেলের সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতে গিয়ে আঘাত লেগেছে। স্থানীয় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ জোগার করার চেষ্টা করছেন পুলিশ কর্মীরা। যদিও ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলেই দাবি পুলিশের৷

Previous articleমুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শুরু হকার সমীক্ষা, পথে হাইপাওয়ার কমিটি
Next articleপরীক্ষায় জালিয়াতি-দুর্নীতি রুখতে এনটিএ-তে কী পরিবর্তন আনা উচিত? এবার পড়ুয়াদের মতামত চাইল কমিটি