মোবাইলের দৃশ্যই নকল! মর্মান্তিক পরিণতি শিশুর

বারবার বলত দিদি গামছা নিয়ে খেলা করে। ওদের মাকে বারণ করেছি। বলেছি গামছা নিয়ে খেলতে দিবি না। টিভি, মোবাইল দেখে

মোবাইলে দেখা ভিডিও শিশুদের উপর কীভাবে প্রভাব ফেলে তা নিয়ে প্রতিনিয়ত সাবধান করছেন ডাক্তার থেকে সমাজকর্মীরা। তারপরেও সচেতন না হওয়ার খেসারত দিলেন হুগলির বাঁশবেড়িয়ার এক মা। মোবাইলে আত্মহত্যার দৃশ্য দেখে তাকেই নকল করতে গিয়ে প্রাণ গেল নয় বছরের শিশুর।

রবিবার সকালে দুই মেয়েকে বাড়িতে রেখে কাজ করতে বেরন ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ক্ষুদিরাম পল্লির বাসিন্দা পরিচারিকার কাজ করা মহিলা। বাড়িতে একাই ছিল তাঁর দুই মেয়ে, নয় বছরের তিয়াসা ও তার ছয় বছরের বোন। দিদা তাদের সকালে আম, মুড়ি খেতে দিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। দুপুরে বাড়ি ফিরে আসার কথা ছিল তাঁর। ওই সময় শুধু দুই বোনই ছিল বাড়িতে। হঠাৎই দিদিকে ছটফট করতে দেখে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসে তার বোন। প্রতিবেশীদের জানায়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। প্রতিবেশীরা গিয়ে দেখেন, তিয়াসার দেহ ঝুলছে।

পরে বাড়ি ফিরে গোটা ঘটনা জানতে পারেন শিশুদের দিদা ও মা। শিশুর দিদা বলেন, “দুই বোন বাড়িতে ছিল। বারবার বলত দিদি গামছা নিয়ে খেলা করে। ওদের মাকে বারণ করেছি। বলেছি গামছা নিয়ে খেলতে দিবি না। টিভি, মোবাইল দেখে। সেখানে দেখেই আত্মহত্যার দৃশ্য সম্ভবত অনুকরণ করতে যায়। তাতেই মৃত্যু।”

প্রতিবেশীরা জানান, বাড়িতে বেশিরভাগ সময় একাই থাকত দুই বোন। দুজনেই অত্যন্ত ভালো স্বভাবের। তাদের মা বাড়ি বাড়ি পরিচারিকার কাজ করে সংসার চালাতেন। তাদের বাবা পরিবারের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখতেন না। এই পরিস্থিতিতে অনেক পরিবারেই শিশুদের হাতে মোবাইল তুলে দেওয়া হয়। সেখানে তারা কী দেখে তাতে কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না পরিবারের। সেই রকমই এই পরিবারে বড়দের অসাবধানতায় রবিবার ঘটে গেল এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।

Previous articleবিদেশি সংস্কৃতিতে ‘না’! গালিগালাজে কড়া শাস্তি, বিয়ের পোশাকেও একাধিক বিধিনিষেধ কিমের দেশে
Next articleবেড়াতে গিয়ে ঝাড়গ্রামে গণপিটুনিতে মৃত্যু তরুণের! চিকিৎসাধীন জখম বন্ধুও