বিপদসীমা পেরোলো অলকানন্দা, বদ্রি মাস্টারপ্ল্যানে বিপদে তীর্থযাত্রীরা

পাহাড় ভাঙার সব আবর্জনা অলকানন্দায়। কয়েক বছর ধরে একইভাবে কাজ করেছে নির্মাণ সংস্থা। ফলে অলকানন্দার গভীরতা কমে গিয়েছে

হিমালয়ের উপরের দিকে প্রবল বৃষ্টি। তার জেরে এবার বদ্রিনাথের তীর্থযাত্রীদের জন্য জারি হল সতর্কতা। সোমবার দুপুরের পর থেকে বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে অলকানন্দা। পুলিশের পক্ষ থেতে লাগাতার মাইকিং করে নদীর ধারে না যাওয়ার জন্য সতর্কতা জারি করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বদ্রিনাথে সাম্প্রতিক মাস্টারপ্ল্যানের জন্য যে পাথর ভাঙার স্তূপ জমা হয়েছে অলকানন্দায়, তার জন্য আরও বড় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বদ্রির পুরোহিতরা।

সম্প্রতি হিমালয়ের তুষারপাতের জেরে কেদারনাথ মন্দিরের পিছনে তুষার ধ্বসের ছবি তীর্থযাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছিল। এবার প্রকৃতির রোষের মুখে বদ্রিনাথ। মন্দিরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা অলকানন্দা প্রায় ১৫ ফুট গভীরতায় থাকে। সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে তা বদ্রি থেকে মাত্র ছয় ফুট দূরে রয়েছে। সেই সঙ্গে তাতে প্রবল স্রোত। বদ্রির পার্শ্ববর্তী তপ্তপানি গরম জলের ধারা ইতিমধ্যেই অলকানন্দার তলায় চলে গিয়েছে।

বদ্রি মন্দিরের পুরোহিতদের দাবি, পাহাড় ভাঙার সব আবর্জনা অলকানন্দায়। কয়েক বছর ধরে একইভাবে কাজ করেছে নির্মাণ সংস্থা। ফলে অলকানন্দার গভীরতা কমে গিয়েছে। তাতেই অল্প জল বাড়ায় বিপদের মধ্যে পড়ছে মন্দির। বারবার সংস্থা এমনকি প্রশাসনকে এভাবে কাজ করতে নিষেধ করার পরেও তাঁরা কানে নেননি বলে দাবি পুরোহিতদের। মাস্টারপ্ল্যানে যে রাস্তা তৈরি হচ্ছিল, জলস্তর বাড়ায় সেই নতুন রাস্তাও এখন জলের তলায়।

জলস্তর বাড়ায় তপ্তকুণ্ড এলাকা খালি করে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বদ্রি মন্দির চত্বরে খুব জরুরি কারণ ছাড়া তীর্থযাত্রী ও স্থানীয়দের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এমনকি বদ্রি মন্দিরের কয়েক মিটার নিচে থাকা ব্রহ্মকপাল এলাকাও ক্রমশ অলকানন্দার গ্রাসে যেতে শুরু করেছে। এই ব্রহ্মকপাল থেকেই অলকানন্দার জল সংগ্রহ করেন তীর্থযাত্রীরা।

Previous articleবালুরঘাট জেলা হাসপাতালকে সেরার শিরোপা স্বাস্থ্যমন্ত্রকের
Next articleসত্য মুছে ফেলা যায় না: লোকসভার বক্তব্য ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি রাহুলের