সংবিধান বিরোধী মোদির ‘ভোলবদল’! রাজ্যসভায় ওয়াকআউট I.N.D.I.A.-র

বিরোধী দলনেতার কথা শোনা হচ্ছিল না। বিরোধী দলের সব সাংসদদের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছিল কথা বলার সুযোগ দেওয়ার জন্য

সংবিধানকেই মুছে ফেলছিল বিজেপি সরকার। সেই সংবিধান রক্ষার লড়াইকে সামনে রেখে লোকসভা ভোটে লড়াই করেছে বিরোধী জোট। এবার রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে বিরোধীদেরই সংবিধান-বিরোধী বলার মতো হাস্যকর দাবি নরেন্দ্র মোদির। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মাঝে বিরোধীরা বলার সুযোগ চাইলেও তা দেননি উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়। প্রতিবাদে বুধবার রাজ্যসভা ওয়াকআউট বিরোধীদের।

বুধবার রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে আসেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি দাবি করেন বিরোধীদের কার্যকলাপ অসাংবিধানিক। সেখানেই বিরোধীদের প্রতিবাদ, যে বিজেপি ও তাঁদের সঙ্গী আরএসএস কোনওদিন সংবিধানকে মানেননি, তাঁদের মুখে সংবিধান নিয়ে বিরোধীদের তোপ মানায় না। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের দাবি, “অর্গানাইজারে লেখা হয়েছে ভারতের নতুন সংবিধানের সবথেকে খারাপ দিক এটাই যে এখানে ভারতের কিছু নেই। মনুস্মৃতিতে আজ পর্যন্ত তুলে ধরা মনুর আইন গোটা দুনিয়া প্রশংসিত। এটা বলা হয়েছে আরএসএসের তরফে। আর আজ নিজে তাকে রক্ষার কথা বলছেন! আর আমাদের সংবিধান বিরোধী বলছে। এরা আম্বেদকর, নেহেরুর কুশপুতুল জ্বালিয়েছিল। প্রথমদিন থেকে এরা সংবিধানের বিরোধী।”

সেই সঙ্গে সংসদে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ নিয়েও সরব হন বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, ” বিরোধী দলনেতার কথা শোনা হচ্ছিল না। বিরোধী দলের সব সাংসদদের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছিল কথা বলার সুযোগ দেওয়ার জন্য। লোকসভায় রাহুল গান্ধীর বক্তব্যের সময় বারবার সরকার পক্ষকে বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু এখানে সেই সুযোগ দেওয়া হল।” তার প্রতিবাদে ওয়াকআউটের পথে যান বিরোধীরা।

Previous articleফুলবাড়িতে কোনও গণপিটুনির ঘটনা নেই, স্পষ্ট জানাল শিলিগুড়ি পুলিশ
Next articleপিছল মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজ্যপালের মামলার শুনানি, নজর ঘোরাতেই মামলা! অভিযোগ আইনজীবীর