নির্বাচনে বড়সড় হারের ইঙ্গিত! সুনক যুগের অবসান ঘটিয়ে ব্রিটেন দখলে মরিয়া লেবার পার্টি

ব্রিটেনে (UK) কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে চলছে সাধারণ নির্বাচন (Election)। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় সকাল এগারোটা নাগাদ শুরু হয়েছে ভোটাভুটি‌। ৬৫০ আসনের ভাগ্য নির্ধারিত হবে একদফা নির্বাচনে। এদিন ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর অর্থাৎ রাত ১০ টার পরই শুরু হবে গণনা। ভারতীয় সময় শুক্রবার সকালের মধ্যেই নিশ্চিত হয়ে যাবে, কোন দল বসতে চলেছে ব্রিটেনের মসনদে‌‌।

তবে নির্বাচনের ট্রেন্ড যেদিকে গড়াচ্ছে তাতে স্পষ্ট প্রধানমন্ত্রী পদের লড়াইয়ে অনেকটাই পিছিয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক। কিন্তু সমস্ত পাশা উল্টে নিজের জয়ের বিষয়ে ১০০ শতাংশ আশাবাদী তিনি। তবে ব্রিটেনে সরকার গঠন করেছে কোন দল সেই উত্তর মিলবে আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার সকালে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেকগুলি রাজনৈতিক দল থাকলেও ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচনে দুই প্রধান প্রতিপক্ষ। কনজারভেটিভ ও লেবার পার্টি। তবে একাধিক সমীক্ষা বলছে ১৯৯৭-এর পর ফের ক্ষমতায় ফিরছে লেবার পার্টি। সেবছর নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতায় ৪১৮ আসন পেয়ে জিতেছিল তারা। কিন্তু, এবারের নির্বাচনে সেই রেকর্ড আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে‌। ৬৫০ আসনের ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সরকার গড়তে ম্যাজিক ফিগার ৩২৬। তবে ব্রিটেনে ভোট দানের হার অনেকটা কম। ভোটের দিন বিশেষ ছুটিও থাকে না। এখানে পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানের হার উল্লেখযোগ্য।

তবে এই মুহূর্তে জোর চর্চা লেবার পার্টির প্রার্থী কিয়ের স্টার্মারকে নিয়ে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, যদি বৃহস্পতিবার সুপার মেজরিটি পেয়ে যান স্টার্মার, তাহলে আগামী ১৮ বছর লেবার সরকারকে কোনওমতেই সরানো যাবে না। লেবার পার্টি মূলত বামপন্থী দল হিসেবে পরিচিত হলেও, এবার ভোটের আগে তারা নয়া কৌশল অবলম্বন করেছে। তবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ওয়েস্টমিনস্টারের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে? বৃহস্পতিবার তার রায় দেবেন ব্রিটেনবাসী। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ‘হাউস অফ কমন্স’-এর ৬৫০ আসনের ভোটগ্রহণের পরেই শুরু হয়ে যাবে গণনা। এখন বিশ্ববাসীর নজর রয়েছে সেদিকেই।

নির্বাচনের খুঁটিনাটি

ব্রিটেনের সংসদে আসন সংখ্যা মোট ৬৫০।

সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে গেলে ৩২৬ টি আসন পেতে হবে।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ৯৮ রাজনৈতিক দল, প্রার্থী ৪৫১৫ জন। তাঁদের মধ্যে ৪৫৯ জন নির্দল এবং ৩০ শতাংশ মহিলা।

নির্বাচনে সব থেকে কমবয়সী প্রার্থী ১৮ বছর বয়সী পেড্রো দ্য কনসিকাও এবং অ্যাডাম ওয়েন জোসেফ গিলম্যান।

সব থেকে বেশি বয়স্ক ৮৬ বছরের জন হিউ মরিস।

ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার।

ব্রিটেনে নথিভুক্ত ভোটারের সংখ্যা চার কোটি ষাট লক্ষের মতো। তবে পরবর্তী সময়ে এই সংখ্যাটা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

এই প্রথমবার পনেরো বছরের বেশি সময় ধরে দেশের বাইরে থাকা ব্রিটিশ নাগরিকরাও ভোটাধিকার পেয়েছেন।

গত কয়েকমাসে কনজারভেটিভ পার্টির প্রতি ব্রিটেনের আমজনতার আস্থা প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। এমনকি নিজের কেন্দ্র রিচমন্ড থেকে হেরেও যেতে পারেন সুনক। ১০০রও কম আসন যেতে পারে কনজারভেটিভদের দখলে। তবে লেবার পার্টির নেতা কিয়ের স্টার্মারের কপালেও চিন্তার ভাঁজ রয়েছে। কারণ অভিবাসী বিরোধিতার জন্য অশ্বেতাঙ্গ ভোটাররা মুখ ফেরাতে পারেন লেবার পার্টির দিক থেকে।

Previous article‘কীভাবে ধরে ছিলে সেই ক্যাচ’, সূর্যকে প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর, রোহিতকে কী জিজ্ঞাসা করলেন মোদি?
Next articleভূপতিনগরকাণ্ডে আদালতে চার্জশিট পেশ করল এনআইএ