তেলেঙ্গানায় BRS-এ ভাঙন অব্যাহত! আরও ৬ বিধান পরিষদ সদস্যদের কংগ্রেসে যোগ

তেলঙ্গানায় (Telengana) কেসিআরের (KCR) দলে ভাঙন অব্যহত। শুক্রবার ভারত রাষ্ট্র সমিতির (BRS) ছ’জন বিধান পরিষদ সদস্য কংগ্রেসে (Congress) যোগ দিলেন। মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি এবং কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় পর্যবেক্ষক দীপা দাশমুন্সির উপস্থিতিতে এদিন আরও শক্তিশালী হল হাত শিবির‌। এদিন ৬ বিধান পরিষদ সদস্যদের যোগদানে কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা ৪ থেকে বেড়ে দাঁড়াল দশে। অন্যদিকে বিআরএসে ভাঙন ধরিয়ে বিধান পরিষদে তাদের সদস্যসংখ্যা ২৫ থেকে কমে উনিশে পৌঁছল। তবে কংগ্রেস শিবিরের দাবি, বিআরএস আগামীদিনে আরও ভাঙবে।

গত বছর বিধানসভা ভোটের আগেই তেলঙ্গানায় ধারাবাহিক ভাঙন শুরু হয়েছিল তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দল ভারত রাষ্ট্র সমিতিতে। বিধানসভা ভোটে হার এবং লোকসভা নির্বাচনে নিশ্চিহ্ন হওয়ার পরও সেই প্রবণতা অব্যহত। ১১৯ আসনবিশিষ্ট তেলঙ্গানায় বিধানসভা ভোটে ৬৪টি আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হন রেবন্ত রেড্ডি। বিআরএস পেয়েছিল ৩৯টি, বিজেপি আটটি এবং আসাদুদ্দিন ওয়েইসির দল মিম পায় সাতটি আসন। পরে লোকসভা ভোটে ১৭টির মধ্যে কংগ্রেস এবং বিজেপি আটটি করে আসন পায়। ওয়েইসি জেতেন হায়দরাবাদ থেকে। তবে বিআরএস একটি আসনও পায়নি। এর মধ্যেই একের পর এক বিধায়ক দলত্যাগ করায় অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়ে গিয়েছে কেসিআরের দল। বর্তমানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর একটাই দুশ্চিন্তা, এই হারে বিধায়করা দলত্যাগী হতে থাকলে দলটা থাকবে তো?

উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা এবং জম্মু-কাশ্মীরে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা রয়েছে। বিধানসভার মতোই বিধান পরিষদেও সেখানে নির্বাচিত হতে হয়। কিন্তু সেখানে সাধারণ নাগরিকেরা ভোট দেন না। ভোট দেন বিধায়ক, পঞ্চায়েত-পুরসভার মতো স্থানীয় প্রশাসনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন পেশার মানুষরা।

Previous articleক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ছে, বিপদে শহর কলকাতাও
Next articleOMR ডেটা উদ্ধারে বিদেশের এথিক্যাল হ্যাকারেরও সাহায্য নিক সিবিআই! পরামর্শ হাইকোর্টের