Monday, November 10, 2025

তৃণমূলকে নিশানা-ভাতাকে ‘ভিক্ষা’ বলার খেসারৎ দিয়েছে বঙ্গ CPIM: স্বীকার কেন্দ্রীয় কমিটির

Date:

শূন্যের খরা কাটেনি বাংলায়। লোকসভা ভোটের ফল নিয়ে কাঁটাছেঁড়াতে রাজ্য CPIM-কেই কাটগড়ায় দাঁড় করালেন দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। পর পর নির্বাচনে সিপিআইএমের ভরাডুবি নিয়ে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তৃণমূল ও বিজেপিকে একই সঙ্গে নিশানা করার নীতিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। তাদের মতে, বাংলায় দলে অতি উৎসাহী ‘ফেসবুক বিপ্লবী’দের মুখে বাংলায় রাজ্য সরকারের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পকে ‘ভিক্ষা’, ‘ঘুষ’ বলে কটাক্ষ ভালো ভাবে নেননি বাংলার খেটে খাওয়া মানুষ। ফলে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে আলিমুদ্দিন।২০১৯-এর পর ২০২৪-এর লোকসভা ভোটেও বাংলায় ১টি আসনেও জিততে পারেনি সিপিআইএম। লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরে CPIM-এর রাজ্য কমিটির বৈঠকে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক সীতারাম (Sitaram Yechuri)। ভোটের ফল নিয়ে সরাসরি মন্তব্য এড়িয়ে তিনি বলেন, “বাংলায় আমরা নতুন পার্টি পেয়েছি। ফল খারাপ হলেও এখানে প্রচার খুব ভাল হয়েছে।“ অর্থাৎ নতুনদের সামনে আনার কথা বলেছেন সীতারাম। সেখানেই রাজ্যের সিপিএম নেতৃত্ব ও তাঁদের নীতিতেই ভরাডুবির জন্য কার্যত নিশানা করে করে কেন্দ্রীয় কমিটি।

কেন্দ্রীয় কমিটি সাফ কথা, বাংলার বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে এগোয়নি আলিমুদ্দিন। যেহেতু লোকসভা ভোট, সেই কারণে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) তুলনায় বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে আক্রমণ তীব্র করা উচিৎ ছিল। কিন্তু প্রচারে সেটা হয়নি। উল্টে প্রচারে নরেন্দ্র মোদির তুলনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানাই প্রাধান্য পেয়েছে। বাংলায় দলের এই নীতি ও মানসিকতাকেই ‘সমস্যা’ বলে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। তাদের মতে, ২০২১ থেকেই এই প্রবণতা চলছে। যার নিট ফল শূন্য।

CPIM-এর কেন্দ্রীয় কমিটির মতে, রাম-বামের বোঝাপড়ার যে অভিযোগ তৃণমূল তুলেছে তা  ভিত্তিহীন হলেও, বিজেপি হেরেছে এমন অনেক আসনেই ভালো ভোট পেয়েছে সিপিআইএম। বঙ্গ নেতৃত্ব না মানলেও সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি স্বীকার করেছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-সহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকারের কল্যাণমূলক কর্মসূচিগুলির কারণে তৃণমূল ইতিবাচক ভোট পেয়েছে। আর সেই প্রকল্পকে ‘ভিক্ষা’, ‘ঘুষ’ বলে কটাক্ষ করেছে বঙ্গ সিপিআইএমের নেতারা। ফলে দলর প্রতি বিরক্ত হয়েছেন বাংলার গরিব মানুষ। জনভিত্তি হারিয়েছে আলিমুদ্দিন। বাংলার সিপিএম যতই সন্ত্রাসের দিকে আঙুল তুলুক না কেন, কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে দলের সাংগঠনিক দুর্বলতাকেই দায়ী করা হয়েছে।






Related articles

ধর্মীয় বই কিনতে গিয়ে ২ কোটি টাকার প্রতারণার ফাঁদে কলকাতা ইসকন! গ্রেফতার ১ 

ধর্মীয় বই কেনার অর্ডার দিতে গিয়ে প্রায় ২ কোটি টাকার প্রতারণার শিকার হল কলকাতা ইসকন। অভিযোগ, অর্ডার অনুযায়ী...

বিশ্বকাপজয়ী মেয়ের সৌজন্যে হারানো পুলিশের চাকরি ফিরে পাচ্ছেন বাবা

কয়েকদিন আগেই আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ(ICC World Cup)  জিতেছে ভারতীয়  মহিলা দল। মেয়েদের সাফল্যে গর্বিত মা-বাবারা। তবে বিশ্বকাপজয়ী মেয়ের...

গ্যাস-সমস্যায় নিঃশ্বাসের পরীক্ষা: যুগান্তকারী আবিষ্কারে বিশ্বে স্বীকৃতি বাঁকুড়ার চিকিৎসকের

একটি সাধারণ সমস্যা, যাতে জর্জরিত বর্তমান যুবসমাজ থেকে শিশুরা পর্যন্ত। গ্যাস বা গ্যাসট্রাইটিসের মতো সমস্যা নির্ধারণ করার জন্য...

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে বাড়তে পারে আসন সংখ্যা, জানালো এসএসসি 

রাজ্যের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ফলাফল ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। প্রকাশিত ফল অনুযায়ী,...
Exit mobile version