রথযাত্রার ভিড় সামলাতে বিশেষ নির্দেশ ডিজির, বৈঠকে গণপিটুনি নিয়েও আলোচনা

উৎসবের মরশুমে বাংলা। সামনেই রথযাত্রা (Rathayatra)। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে আগামী ৭ জুলাই (রবিবার) রথ উপলক্ষে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি ঐদিন রথের দড়িতে টান দেবার জন্য বিপুল ভক্ত সমাগম হয় কলকাতা, শ্রীরামপুর, বেলঘড়িয়া, বাঁশবেড়িয়া সহ নানা প্রান্তে। শুক্রবার এই নিয়ে বিশেষ বৈঠক করেন রাজ্য পুলিশের ডিজি সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় (Sanjay Mukherjee)। সূত্রের খবর, শুক্রবারের বৈঠকে হাথরসে পদপিষ্ট হওয়ার মতো ঘটনার প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। এই কথা মাথায় রেখে উৎসবের দিনে যাতে কোনও রকমের দুর্ঘটনা না ঘটে সেদিকেই রাজ্য পুলিশকে নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ডিজি (DG, WB Police)।

রবিবার রথযাত্রা উপলক্ষে রাজ্যের সব জেলাতেই বিশেষ নজরদারি থাকবে পুলিশের। যে সমস্ত জায়গায় রথ উপলক্ষে বিপুল মানুষের সমাগম হয় ( যেমন শ্রীরামপুরের মাহেশের রথ) এইসব জায়গায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়নের পাশাপাশি ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমেও নজরদারি চালানো হবে।কলকাতায় সাতটা বড় রথযাত্রা বার হয়। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) মিরাজ় খালিদ বলেন, ‘রথযাত্রার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেছে পুলিশ।’ সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশের এলাকায় রথের দিন ১৫০০ জন পুলিশকর্মী থাকবেন দায়িত্বে। বড় বড় রথযাত্রার ক্ষেত্রে ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার থাকবেন। এখানেই শেষ নয়, শ্রাবণ মাসে তারকেশ্বর মেলা-সহ রাজ্য জুড়ে একাধিক মেলা রয়েছে। অনেক জায়গাতেই প্রচুর লোকের সমাগম হয়। সেই কথা মাথায় রেখেই পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে, শুক্রবার ভবানী ভবনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এমনই বার্তা দিয়েছেন সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) মনোজ বর্মা (Manoj Varma), পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কমিশনারেরা। শুধু ভিড়ে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনাই নয় একই সঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনা নিয়েও সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে।

শুক্রবারের বৈঠকে উঠে এসেছে গণপিটুনির প্রসঙ্গও। রাজ্য সরকার (Government of West Bengal) ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ করেছে। বেশ কিছু গাইডলাইন বেঁধে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। সূত্রের খবর, সেই সব গাইডলাইন মেনে ব্যবস্থা গ্রহণের কথাই বৈঠকে বিশেষভাবে মনে করিয়ে দেন ডিজি। সমাজমাধ্যমে (Social media) বাড়তি নজরদারির নির্দেশও পুলিশকে দিয়েছে প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহল।