শারীরিক প্রতিবন্ধী বা বিশেষভাবে সক্ষম মানুষদের (Physically Challenged) সিনেমা বা ছোট পর্দায় আর কোনওভাবেই অমর্যাদা করা যাবে না। সোমবার এক মামলার রায়ে এমনই নির্দেশিকা জারি করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court of India)। এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ সাফ জানায়, শব্দ অনেক সময়েই প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য গড়ে দেয়। বিশেষ করে পঙ্গু, বিকলাঙ্গের মতো এমন কিছু শব্দ আমাদের সমাজে ব্যবহার হয় তা রীতিমতো অবমাননাকর। এরপরই প্রধান বিচারপতি জানান, এমন শব্দ সমাজকে আরও খারাপের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আর সেকারণেই শব্দের ব্যবহার এবং বিশেষভাবে সক্ষমদের ‘অবমাননা’ প্রসঙ্গে একাধিক নির্দেশিকা বেঁধে দিল দেশের শীর্ষ আদালত।

সম্প্রতি একটি হিন্দি চলচ্চিত্রে বিশেষভাবে সক্ষমদের চিত্রায়ণ নিয়ে আপত্তি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন এক ব্যক্তি। সেই মামলাটিই সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে উঠলে এমনই নির্দেশ বেঞ্চের। এদিন শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, বিশেষভাবে সক্ষমদের বর্ণনা দিতে পঙ্গু, বিকলাঙ্গ বা জড়বুদ্ধি-র মতো কোনও শব্দ আর ব্যবহার করা যাবে না। কারণ ওই শব্দগুলির অবমাননাকর অর্থ রয়েছে। পাশাপাশি সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, চিত্র নির্মাতাদের উচিত বিশেষভাবে সক্ষমদের জীবনের অনান্য দিক বা তাঁদের অসুবিধার দিকগুলি তুলে না ধরে সাফল্যের দিকগুলি বেশিমাত্রায় তুলে ধরা উচিত।

তবে এখানেই শেষ নয়। এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের আরও নির্দেশ এই সমস্ত বিষয় যাতে ঠিকমতো মেনে চলা হয় তার দায়িত্ব নিতে হবে জাতীয় ফিল্ম সার্টিফিকেশন সংস্থা CBFCকেই। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদেরও পরামর্শ নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
