উপাচার্য নিয়োগ মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রসঙ্গে সোমবার ব্রাত্য বসু বলেন, এই রায়টা আমাদের রাজ্যে সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য ভালো হয়েছে। এই রায় যা প্রতিফলিত হচ্ছে, তা আমরা প্রথম থেকেই চেয়ে আসছিলাম। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য মুখ্যমন্ত্রী হন। এই প্রথম সুপ্রিম কোর্ট সেটাকে কার্যত বৈধতা এবং মান্যতা দিয়েছেন। অবিলম্বে এই রাজ্যপালকে এখান থেকে প্রত্যাহার করুন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর তাকে এক মুহূর্ত এখানে রাখা উচিত নয়।

এদিন রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলে, আগামী দুসপ্তাহের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।কমিটি উপাচার্যকে বাছাই করবে। প্রয়োজন হলে চেয়ারম্যান সুপ্রিম কোর্টের প্রদত্ত তালিকা থেকে আরও ৪ জনকে কমিটিতে রাখতে পারেন। সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একসঙ্গে কমিটি গঠন করা হতে পারে। আবার আলাদা আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আলাদা সার্চ কমিটিও করতে পারেন চেয়ারম্যান। তিনজন করে উপাচার্যের নাম প্রস্তাবিত করা যাবে। এরপর সেই নামের তালিকা যাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তিনি তাঁর ইচ্ছে মত নাম সংযোজন বা বিয়োজন করে মতামত জানিয়ে তালিকা সাজিয়ে রাজ্যপালের কাছে পাঠাবেন। তারপরেই উপাচার্য নিয়োগ করতে পারবে। তিনমাসের মধ্যে বিজ্ঞাপন দিয়ে গোটা বিষয়টি শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ওই বিজ্ঞাপনে এই সুপ্রিম নির্দেশের উল্লেখ থাকতে হবে বলেও বলা হয়েছে। এছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কথা উল্লেখ করা হয়েছে গোটা প্রক্রিয়ার খরচ বহন করবে রাজ্য।


এরই পাশাপাশি, নিট পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে যে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠছিল, সে প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সুপ্রিম কোর্ট শেষ পর্যন্ত জানিয়ে দিল প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে এবং এর সাথে একটা দুর্নীতি জড়িয়ে রয়েছে। এর ব্যপ্তি যদি আরও বড় ভয় তাহলে এই পরীক্ষা নতুন করে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আমার ধারণা খুব দ্রুত উচ্চশিক্ষা দফতরকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে রাজ্যের পরীক্ষা রাজ্যই নেবে। এইভাবে লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থীর জীবন নষ্ট হতে পারে না।
