কৃষকদের হরিয়ানা ঢোকা আটকাতে পারি না, শম্ভু সীমানা খোলার নির্দেশ আদালতের

গণতান্ত্রিক অধিকারের উপর আস্থা ফিরিয়ে সীমানা খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, উর্দিধারীরা এদের (কৃষকদের) ভয় পেতে পারেন না

সেনার উর্দির পরা মানুষ যেন এদের ভয় না পায়। এমনকি কৃষকরা ঘেরাও করতে পারেন, এমনও নির্দেশ পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের। পঞ্জাব-হরিয়ানা সংযোগকারী শম্ভু সীমান্ত খোলার নির্দেশ দিয়ে পর্যবেক্ষণে এমনটাই জানাল আদালতের বিচারপতি জিএস সন্ধ্যাওয়ালিয়া ও বিচারপতি বিকাশ বহলের ডিভিশন বেঞ্চ।

জানুয়ারি মাসের শেষের দিক থেকে দিল্লির যন্তর মন্তর অভিযানে নামেন কৃষকরা। তাঁদের ঠেকাতে হরিয়ানার শম্ভু সীমান্ত অবরুদ্ধ করে হরিয়ানা সরকার। পঞ্জাব ও হরিয়ানার মধ্যে যোগাযোগের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সড়কের উপর কংক্রিটের গাঁথনি করে দেওয়াল তোলা হয়। তার বাইরে কাঁটাতারের দীর্ঘ বেড়া দেওয়া হয়। সঙ্গে পাহারায় মজুত হয় ভারতীয় সেনা। কৃষক আন্দোলনের জল অনেক দূর গড়িয়েও সমাধান বেরোয়নি। তৃতীয়বার কেন্দ্রে বিজেপির সরকার গঠনের পরে ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনের পথে কৃষকরা।

পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের সঙ্গে দিল্লি সংযোগকারী প্রধান সীমানা খুলে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার শুনানিতে বুধবার শম্ভু সীমান্ত খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। যাতায়াতের প্রভূত সমস্যা ৫-৬ মাস ধরে চলছে। বিকল্প যে পথে দেওয়া হয়েছে তা সমস্যাজনক।

তবে মূলত গণতান্ত্রিক অধিকারের উপর আস্থা ফিরিয়ে সীমানা খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, উর্দিধারীরা এদের (কৃষকদের) ভয় পেতে পারেন না। আমরা গণতন্ত্রে বাস করি, কৃষকদের হরিয়ানায় ঢোকা আটকানো বন্ধ করতে পারি না। ওদেরকে ঘেরাও করতে দিন।”