লাল-হলুদে কি আনোয়ার আলি ? জল্পনা তুঙ্গে

আনোয়ারের এই ডিলের সঙ্গে জড়িত এক সূত্রের খবর, গতকাল রাতেই আনোয়ারের সমস্ত কাগজপত্র দেখে তাঁকে সই করিয়েছে লাল-হলুদ।

আনোয়ার আলির খেলা নিয়ে ফের জটিলতা। মোহনবাগানের সঙ্গে চুক্তি থাকলেও, ইস্টবেঙ্গল নাকি চুক্তি করিয়ে নিয়েছে ভারতীয় এই তারকা ফুটবলারকে। এমনটাই সূত্রের দাবি। মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট অবশ্য আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়েই রেখেছে বলে জানা যাচ্ছে। ফলে পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে, তাতে আদালতে বল গড়াতে পারে। কোর্টে আরও এক ডার্বিতে জড়িয়ে পড়তে পারে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল।

আনোয়ারের এই ডিলের সঙ্গে জড়িত এক সূত্রের খবর, গতকাল রাতেই আনোয়ারের সমস্ত কাগজপত্র দেখে তাঁকে সই করিয়েছে লাল-হলুদ। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের এক শীর্ষ কর্তা। ছিলেন রঞ্জিত বাজাজও। জানা যাচ্ছে আনোয়ারকে সই করাতে আসোরে নেমেছিল আইএসএল-এর আরও এক হেবিওয়েট দল মুম্বই সিটি এফসিও। কিন্তু মুম্বইকে টেক্কা দিয়ে আনোয়ারের সঙ্গে ডিল ডান করে ইস্টবেঙ্গল।

বেশ কয়েকদিন ধরেই দলবদলের বড় খবর আনোয়ার আলি। গত মরশুমে দিল্লি এফসি থেকে লোনে এসেছিলেন মোহনবাগানে। বাগানের জার্সি গায়ে দাপিয়ে খেলেছেন এই ভারতীয় তারকা ফুটবলার। ভরসা দিয়েছেন দলের ডিফেন্সকে। তাঁকে নিয়ে আসন্ন মরশুম শুরু হওয়ার আগে থেকেই চলছে দলবদলের মেগা লড়াই। ঘটনার সূত্রপাত দিল্লি এফসির কর্তা রঞ্জিত বাজাজের এক পোস্ট থেকে। তিনি জানান, নতুন ক্লাবে দেখা যেতে চলেছে আনোয়ারকে। এরপরই নড়েচড়ে বসে সবুজ-মেরুন টিম ম্যানেজমেন্ট। তারা বলেন আনোয়ারের সঙ্গে তাদের চুক্তি ২০২৭ পর্যন্ত।

কিন্তু এরপরই পালটা মুখ খোলেন দিল্লি এফসির কর্তা রঞ্জিত বাজাজ। তিনি বলেন, ফিফার নিয়ম অনুসারে একজন ফুটবলারকে লোনে এক মরশুমের জন্যই সই করানো যায়। সেখানে আনোয়ারের সঙ্গে ২০২৭ পর্যন্ত চুক্তি করেছে মোহনবাগান । যা নাকি ফিফার নিয়মের বাইরে। আর এখানেই নাকি বাজি মারে লাল-হলুদ। বিশাল অর্থে আনোয়ারকে জালে তোলেন ইমামি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। যদিও মোহনবাগান কর্তারাও বিষয়টা খতিয়ে দেখেছেন। তবে তাদের দাবি, ফিফার এই নিয়ম ভারতীয় ফুটবলের ক্ষেত্রে কার্যকর নয়।

আরও পড়ুন- উরুগুয়ে-কলম্বিয়া ম্যাচ শেষে ঝামেলা, হাতাহাতি ফুটবলার সমর্থকদের মধ্যে