ছেলের সঙ্গে হারালো ‘সুবিধা’ও; নিয়ম বদলের আবেদন শহিদ পরিবারের

কেন্দ্রের নিয়ম নীতিকে আরও একবার প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছেন অংশুমানের বাবা-মা। তাঁদের দাবি, ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের পরও এভাবেই একাধিক নীতি বদল

মরণোত্তর কীর্তিচক্র উপাধি পাওয়ার পরে ভারতীয় সেনার চিকিৎসক অংশুমান সিংয়ের পরিবার গোটা দেশের নজর কেড়েছে। বিয়ের মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে স্বামীকে হারানো চিকিৎসক স্মৃতি সিং-এর জন্য গোটা দেশ আফশোস করেছিল। যদিও ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের মৃত্যু হয়েছে ২০২৩ সালে, কিন্তু রাষ্ট্রপতির হাত থেকে সম্মান গ্রহণের সময়ই তাঁর পরিবার দেশের নজরে আসে। সংবাদ মাধ্যমের আলো পাওয়ার পরই কেন্দ্রের একাধিক নীতির উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শহিদের মা মঞ্জু সিং। অগ্নিবীর নীতি নিয়ে সরব হওয়ার পরে এবার সেনাবাহিনী নমিনি নীতি নিয়ে সরব শহিদে পরিবার।

২০২৩ সালে সিয়াচেন রেজিমেন্টে সেনা ছাউনিতে আগুন লাগার ঘটনার পরে জওয়ানদের প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে শহিদ হন অংশুমান সিং। একবছর ধরে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথ শহিদের মা-বাবার পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু বাকি জীবনটা তাঁদের কাটবে কীভাবে, প্রশ্ন বাবা-মায়ের। তাই এবার কেন্দ্র সরকারের ‘নেম অফ কিন’ (Name of Keen) অর্থাৎ সুবিধা পাওয়ার দাবিদারের নীতি পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন।

কেন্দ্র সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নীতি অনুসারে অবিবাহিত সেনা জওয়ানদের নেম অফ কিন হিসাবে তাঁর বাবা-মায়ের নাম থাকে। কিন্তু জওয়ানের বিয়ের পরে সেই জায়গায় নাম হয় তাঁর স্ত্রীর। কিন্তু শহিদ অংশুমানের বাবা-মায়ের দাবি, আলাদা থাকেন পেশায় ডাক্তার স্মৃতি সিং। ফলে কীর্তিচক্রের খেতাবটির মতো জওয়ানের মৃত্যুর পর যাবতীয় সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত তাঁরা। শহিদের বাবা রবি প্রতাপ সিংয়ের আফশোস, “আমার স্ত্রী এবং পুত্রবধূ সেই সম্মান গ্রহণ করে। পুত্রের মরণোত্তর সম্মানকে ছুঁয়েও দেখার সুযোগ হল না।”

এই প্রসঙ্গেই তাঁরা কেন্দ্র সরকারের কাছে বারবার আবেদন করছেন, কেন্দ্রের নিয়ম বদলের। যে শহিদের বাবা-মা সেই জওয়ানদের উপরই নির্ভরশীল ভবিষ্যতে তাঁদের জন্যও এই নিয়ম সমস্যা তৈরি করতে পারে। এই রকম একাধিক দাবি তুলে ফের কেন্দ্রের নিয়ম নীতিকে আরও একবার প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছেন অংশুমানের বাবা-মা। তাঁদের দাবি, ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের পরও এভাবেই একাধিক নীতি বদল করেছিল কেন্দ্র।