“ভদ্রলোককে দেখে খারাপ লাগে!” মানিকতলা জয়ের পর কল্যাণকে টিপ্পনী সুপ্তির

মানিকতলা বিধানসভা উপনির্বাচনে (Maniktala Assembly By Poll) সর্বকালীন রেকর্ড মার্জিনে জয়ী তৃণমূল। তৃণমূল প্রার্থী সুপ্তি পাণ্ডে ৬২ হাজার ৩১২ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করকেন তাঁর নিকটবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির কল্যাণ চৌবেকে। এদিন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণনার শুরু থেকে এগিয়ে ছিলেন সুপ্তি পাণ্ডে। রাউন্ড যত এগিয়েছে, তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান ততই বেড়েছে। প্রয়াত সাধন পাণ্ডে এই কেন্দ্র থেকে ৯বার নিতে রেকর্ড গড়ে ছিলেন। সেই ধারাই বজায় রাখলেন সুপ্তি পাণ্ডে। মানিকতলা উপনির্বাচনে তৃণমূলের কনভেনর এমন ঐতিহাসিক জয়ের পার মানুষকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি প্রয়াত সাধন পাণ্ডেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছেন।

একুশের বিধানসভা ভোটে হারের পর কারচুপির অভিযোগে প্রয়াত মন্ত্রী-বিধায়ক সাধন পাণ্ডের বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। ওই বছরেরই ৯ নভেম্বর প্রয়াত হন সাধনবাবু। কিন্তু কল্যাণের মামলার জেরে আইনি জটিলতায় ওই আসনের উপনির্বাচন আটকে ছিল প্রায় আড়াই বছর। যার জেরে এলাকার মানুষ বিধায়কের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। পরে আদালতের নির্দেশে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন কল্যাণ। এবং ফের বিজেপির টিকিটে উপনির্বাচনে (Maniktala Assembly By Poll) লড়াই করে বড় ব্যবধানে হারলেন কল্যাণকে সুপ্তি পাণ্ডের টিপ্পনি, “মন থেকে বলছি, ভদ্রলোককে (কল্যাণ) দেখে আমারও খারাপ লাগে! উনি বারে বারে ভোটে দাঁড়ান আর হেরে যান!”

এদিন কুণাল ঘোষ চূড়ান্ত ফল ঘোষণার আগেই এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “মানিকতলা বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুপ্তি পাণ্ডেকে রেকর্ড জয়ের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য মানুষকে অভিনন্দন। দলের প্রচার ও কর্মপদ্ধতিতে সাড়া দিয়েছেন মানুষ। কর্মী, সমর্থকদের পরিশ্রম সার্থক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ। সাধনদাকে শ্রদ্ধাঞ্জলি।” পরে গণনা কেন্দ্রের সামনে গিয়ে কুণাল ঘোষ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, কল্যাণ চৌবে মামলা করে ভোট আটকে রেখেছিল। মানুষ পরিষেবা পাচ্ছিলেন না। ভোটে তার জবাব দিয়েছে মানুষ। কল্যাণ চৌবে যত ভোটে হারবে ওর বাড়িতে ততগুলি রসগোল্লা পাঠাবো।

আরও পড়ুন: উপনির্বাচনে হোয়াইটওয়াশ বিজেপি, বাগদা- রানাঘাট দক্ষিণেও জয়ী তৃণমূল