ডেপুটি মেয়রের নাম করে তোলা-মারধর! পুলিশের জালে দুষ্কৃতীরা, দোষ করলে শাস্তি: অতীন

কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের (Atin Ghosh) নামে করে তোলাবাজি। ভাইরাল ভিডিও (Viral Video) দেখেই দুষ্কৃতীকে ধরল পুলিশ (Police)। তোলা না দেওয়ায় এক প্রোমোটারকে তাঁর অফিসে ঢুকে মারধরের অভিযোগ ওঠে অভিজিৎ মণ্ডল ওরফে রানা নামে ওই দুষ্কৃতী ও দলবলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মূল অভিযুক্ত-সহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ (Police)।নিজেকে তৃণমূল কর্মী এবং ডেপুটি মেয়রের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচয় দিয়ে এলাকায় তোলাবজি চালাচ্ছিল রানা ও তার দলবল। সিঁথির রাজেন্দ্রনাথ রায়চৌধুরী লেনে অভিজিৎ সরকার নামে এক প্রোমোটার একটি বহুতল নির্মাণ করছিল। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে সিঁথির মোড়ের কাছে ওই প্রোমোটারের অফিসে আচমকাই রানা নেতৃত্বে কয়েক জন গিয়ে চড়াও হয়। এলাকায় ব্যবসা করতে হলে, পাঁচ লক্ষ টাকা দিতে হবে বলে দাবি করে। দু’পক্ষের বচসা বাধে। অভিযোগ, অভিজিৎ অত টাকা দিতে না চাইলে তাঁর উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। মারধর করার পাশাপাশি, অফিস ভাঙচুর করা হয়। অফিসে থাকা লক্ষাধিক টাকা নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান আক্রান্ত প্রোমোটারের দাদা তাপস মজুমদার। অভিজিৎকে উদ্ধার করে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর। রাতেই কাশীপুর থানাকে বিষয়টি জানান তাপস। শনিবার সকালে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল (ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি ‘বিশ্ববাংলা সংবাদ’) হয়। তদন্তে নেমে প্রথমে রানার দুই সাগরেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এলাকা ছেড়ে পালায় রানা। রবিবার মেদিনীপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মোট চারজনকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে। রানা ছাড়াও রয়েছে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশাল দেব ও মনু পাণ্ডে।

আক্রান্ত প্রোমোটারের অভিযোগ, নিজেদের জয়ন্ত সিং এবং কলকাতা পুরসভার ডেপুটি অতীন ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচয় দিতেন রানারা। ঘটনায় তাঁর নাম উঠে সম্পর্কে অতীন ঘোষ বলেন, রানাকে তিনি চেনেন। কিন্তু দীর্ঘদিন তিনি সিঁথি অঞ্চলে যান না। সত্যিই যদি সে অপরাধ করে থাকে তাহলে উপযুক্ত শাস্তি পাবে।