মনিপুরে অস্ত্রের প্রয়োগে ‘শান্তি’ প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় প্রাণ দিতে হল এক জওয়ানকে। জনজাতি গোষ্ঠী সংঘর্ষে রক্তাক্ত মনিপুর নিয়ে প্রায় এক বছর চুপ করে থাকার পরে নতুন মন্ত্রিসভায় আলাদা গুরুত্ব পেয়েছে উত্তর পূর্বের উন্নয়ন। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও বিজেপি নেতা মন্ত্রীকে এলাকায় ঢুকতে দেখা যায়নি। দিল্লি থেকে রিমোট কন্ট্রোলে মনিপুর নিয়ন্ত্রণের জেরে ফের অশান্ত হচ্ছে জিরিবামের মতো এলাকা।

বিবাদে রক্তপাত হওয়া দুই জনজাতি গোষ্ঠী – মেইতি বা কুকি, কারো সঙ্গেই তাঁদের সমস্যা বা দাবির বিষয়ে আলোচনার জায়গায় আসেনি মোদি সরকার। সম্প্রতি রাহুল গান্ধী মনিপুর সফরে গিয়ে দুই সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে কথা বলেন, তাঁদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেও শান্তি প্রক্রিয়া চালানো হয়। কিন্তু দেখা মেলেনি কোনও বিজেপি নেতার।

এরপরই শনিবার জিরিবাম এলাকায় ফের গুলি চলে। রবিবার সকালেই মনিপুর পুলিশ ও সিআরপিএফের যৌথ বাহিনী এলাকায় তল্লাশি ও গ্রেফতারিতে তৎপর হয়। মনবাং গ্রামের কাছে পৌঁছাতেই তাঁদের উপর অতর্কিতে হামলা চালায় অজ্ঞাত দুষ্কৃতিরা। অজয় কুমার ঝা নামে এক সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়। আহত হন জিরিবাম থানার এক এসআই সহ তিনজন পুলিশ কর্মী। যদিও পুলিশের দাবি, ওই সব এলাকা থেকে তাঁরা প্রচুর অত্যাধুনিক অস্ত্র ও গ্রেনেড উদ্ধার করেছেন।
