Friday, November 7, 2025

বাংলায় শিল্পের বিকাশে সবুজ প্রযুক্তি, ৫০০০ গাছ লাগানোর ঘোষণা MCCI-র

Date:

একদিকে শিল্পের বিকাশ অন্যদিকে সবুজায়নের বার্তা। এবার বায়োডিগ্রেডেবল প্লাস্টিক ব্যবহারে উৎসাহ প্রদানে এবং রাসায়নিক সেক্টরের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে মার্চেন্টস চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, ইন্ডিয়ান কেমিক্যাল কাউন্সিল (Indian Chemical Council) এবং ইন্ডিয়ান প্লাস্টিক ফেডারেশনের (Indian Plastic Federation) সহযোগিতায়, ১৫ জুলাই পার্ক হোটেলে একটি কনক্লেভের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন গোলাম রব্বানি, ডঃ কল্যাণ রুদ্র, ডাক্তার রাজেশ কুমার, ললিত আগরওয়াল, দেবর্ষি দত্তগুপ্ত সহ অন্যান্যরা। এই অধিবেশন থেকে আগামী কয়েকমাসের মধ্যে ৫ হাজার গাছ লাগানোর কথাও ঘোষণা করে MCCI।

গোলাম রব্বানি জানান যে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (WBPদেশের সবথেকে উন্নতমানের ইন্টেন্সিভ এয়ার কোয়ালিটি মনিটারিং নেটওয়ার্ক (Intensive Air Quality Monitoring Network) তৈরি করেছে। নিয়মিতভাবে ৮৩টি স্থানে ‘অ্যাম্বিয়েন্ট এয়ার কোয়ালিটি’ পর্যবেক্ষণ করা হয়। পরিবেশ অধি দফতর রাজ্যের চারপাশে ৪০০০টি ধোঁয়াবিহীন চুলা স্থাপন করেছে। তিনি জানান যে দেশের মধ্যে এ রাজ্যেই সবথেকে কম দূষণ হয়। বাংলা ইতিমধ্যে বায়োডিগ্রেডেবল এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক তৈরি ও ব্যবহারে মনোনিবেশ করছে। এবার শিল্পের প্রসারেও সবুজ প্রযুক্তি গ্রহণ করতে করতে সকলের সহযোগিতার কথা বলেন তিনি। ডব্লিউবিপিসিবির চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র বলেন প্লাস্টিক বর্জ্য সম্পদ হিসাবে ব্যবহার করা উচিত। WBPCB-এর সদস্য সচিব আইপিএস রাজেশ কুমার জানান দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড ইতিমধ্যেই পাটের ব্যাগের প্রচার বাড়ানোর পাশাপাশি তুলোর ব্যাগের জন্য ভেন্ডিং মেশিন তৈরি করেছে। তিনি বলেন SEBI জানিয়েছে যে শীর্ষতালিকায় থাকা এক হাজার কোম্পানি ESG কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট জমা দেবে। এর পাশাপাশি প্লাস্টিকের ব্যাগের পরিবর্তে পাট ও সুতির ব্যাগ ব্যবহার করার অনুরোধ জানান তিনি। নমিত বাজোরিয়া বলেন, এশিয়ায় রাসায়নিক উৎপাদনে ভারত তৃতীয় স্থানে রয়েছে, ভারতের জিডিপিতে যা ৩.৪ শতাংশ অবদান রাখে। ২০২০-২০২৫ সালের মধ্যে ৯.৩ শতাংশ CAGR বৃদ্ধির সাথে এই খাতটি ৩০৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে বলে মনে করা হচ্ছে। অভিষেক কুমার আগরওয়াল বলেন যে প্লাস্টিকের বাজার প্রায় ৩.৬ লক্ষ কোটি টাকার কাছাকাছি। ২০৩০ সালের মধ্যে যা ৫.৭ লক্ষ কোটি পর্যন্ত হতে চলেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চাহিদা এবং শেয়ারহোল্ডারদের লাভের ক্ষেত্রে একটি বিশ্বব্যাপী আউটপারফর্মার হয়েছে ভারতীয় রাসায়নিক শিল্প। ভারতীয় GDPতে এর অবদান প্রায় ৭ শতাংশ।


Related articles

শিলিগুড়িতে উৎসবের মেজাজেই সোনার মেয়েকে বরণ, নিজের অনুভূতির কথা জানালেন আপ্লুত রিচা

বিগত কয়েক বছর ধরেই পুরুষ এবং মহিলা ক্রিকেটের মধ্যে ব্যবধান একটু একটু কমছে। আইসিসি বিশ্বকাপ জিতে ভারতীয় ক্রিকেটেই...

পথশ্রী প্রকল্প বেনিয়ম বরদাস্ত নয়: স্পষ্ট নির্দেশ মুখ্যসচিবের

পথশ্রী প্রকল্পের অধীনে গ্রামীণ রাস্তাগুলির মান বজায় রাখতে জেলা প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দিলেন মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ। শুক্রবার...

ন্যাশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুয়েরেন্স স্ট্যান্ডার্ড প্রতিযোগিতায় রাজ্যে সেরা বসিরহাট পুরসভা

ন্যাশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুয়েরেন্স স্ট্যান্ডার্ড (National Quality Assurance Standard) প্রতিযোগিতায় ১২৯টি পুরসভার মধ্যে প্রথম স্থান ছিনিয়ে নিল বসিরহাট পুরসভা...

‘হিন্দি বলয়ের লোক’! বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়ে অস্বস্তি বাড়ালেন অভিজিৎ

বাংলা বিরোধী বিজেপির বিরুদ্ধে প্রবল বাঙালি বিদ্বেষ ঠিক কীভাবে বাংলার মানুষের ক্ষতি করেছে তা বারবার তুলে ধরেছে বাংলার...
Exit mobile version