এবার বাংলার পাঠক্রমে যুক্ত হচ্ছে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহামেডানের ইতিহাস

কলকাতার তিনটি শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব দেশের ক্রীড়া মহলে বেশ গুরুত্বপূর্ণ

বাঙালির সবচেয়ে প্রিয় খেলা ফুটবল। আর এই খেলার সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানা ইতিহাসও। এবার নবম শ্রেণির ‘স্বাস্থ্য ও শরীর শিক্ষা’ বিষয়ক পাঠক্রমে জুড়তে চলেছে মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং মহামেডান স্পোর্টিং এর ইতিহাস। রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে গোড়া থেকে বাংলার এই তিন দলের লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস জানতে পারে, সেই লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের।শুধু ইতিহাস জানাই নয়, এই বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা প্রজেক্টও সাবমিট করতে পারবেন। কলকাতার তিনটি শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব দেশের ক্রীড়া মহলে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। দেশে আর এমন নিদর্শন নেই। এবার এই তিন ক্লাবের স্বর্ণ যুগের কথাই লেখা থাকবে পাঠ্যবইয়ের পাতায়।এবার কলকাতার সেই তিন প্রধান– ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহামেডান স্পোর্টিং যুক্ত হচ্ছে বাংলার পাঠক্রমেও।

ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্তা রজত গুহ বলেছেন, এটা একটা ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। তরুণ প্রজন্মের কাছে ময়দানের ফুটবলের আগ্রহকে ফিরিয়ে আনতে এর চেয়ে বড় অবদান হয় না। আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তিনি বরাবর কলকাতা ফুটবল নিয়ে আগ্রহ দেখান, এটা তারই বড় দৃষ্টান্ত। মহামেডান ক্লাবের পক্ষে সচিব ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, বাংলার ফুটবলের অতীত গরিমা ফিরিয়ে আনতে এটা রাজ্য সরকারের বড় পদক্ষেপ। এতে করে নতুন প্রজন্ম আবার নতুন করে মাঠমুখী হবে।

এই প্রসঙ্গে আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত বলেছেন, এটা ভাল সিদ্ধান্ত। তবে বাংলার ফুটবলের জানার পরিধিতে আইএফএর ইতিহাস থাকলে আরও ভাল হতো। জানা গিয়েছে, মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মহামেডান ক্লাবের জন্মলগ্ন থেকে তাদের যাবতীয় সাফল্য তুলে ধরা হয়েছে এই পাঠ্য বইয়ে। এমনকী তিন প্রধান ক্লাবের প্রাক্তন দিকপাল তারকাদের ইতিবৃত্ত তুলে ধরা হয়েছে পাতায় পাতায়। রঙিন ছবি দিয়ে পাতাগুলোকে সাজানো হয়েছে। এতে করে বাংলার ফুটবলের মরা গাঙে নতুন করে জোয়ার আসবে সেটি বলাই বাহুল্য। দু’টো ক্লাব রয়েছে জাতীয় ফুটবলের প্রথম সারির লিগে, আর একটি উঠে আসার মুখে। ভারতে অন্যত্র এমন নিদর্শন নেই। এমনকী আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও বিষয়টি বিরল।

 

Previous articleমেধায় ছাড়, অন্যপদে বেসরকারি কর্মী সবই কর্ণাটকের হতে হবে: সিদ্দারামাইয়া
Next articleঅগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বাংলাদেশে, অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়!