ধর্মঘটে পোলট্রি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন,ডিমের দাম বাড়ার সম্ভাবনা

মারধরের জেরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এর পরই পুলিশ-প্রশাসনে বিষয়টি জানায় সংগঠন। এর পরই ধর্মঘটের ডাক দেয় সংগঠন

এমনিতেই বাজারে শাক-সবজির চড়া দাম নিয়ে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। এর মধ্যে গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো আজ বৃহস্পতিবার থেকে ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এর ফলে মুরগির মাংসের জোগানে টান পড়তে চলেছে রাজ্য জুড়ে। অনির্দিষ্টকালের জন্য এই ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংগঠনের কর্তারা। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন থানা এলাকায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে টাকা আদায় করাটাই যেন নিয়ম হয়ে গিয়েছে। এর জন্য চলছে মারধরও।

জানা গিয়েছে, পোলট্রি ফার্ম থেকে মুরগি বাজারে আনার জন্য সাড়ে চার হাজারের বেশি গাড়ি রয়েছে সংগঠনের তালিকাভুক্ত। ওই গাড়ি করে মুরগি আনার সময় রাতের অন্ধকারে এক শ্রেণির তোলাবাজদের মুখে পড়তে হয় চালকদের। নিয়মিত ৫০০ টাকা আদায় যেন রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেই অভিযোগ করেছেন তারা। সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানায় এলাকায় এক খালাসি এভাবেই নিগৃহীত হয়েছেন বলে অভিযোগ । জানা গিয়েছে, তিনি ১০০ টাকা দিতে চাইলে তাঁকে নিগ্রহ করা হয়। মারধরের জেরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এর পরই পুলিশ-প্রশাসনে বিষয়টি জানায় সংগঠন। এর পরই ধর্মঘটের ডাক দেয় সংগঠন।

তথ্য পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি সপ্তাহে রাজ্যে প্রায় তিন কোটি কেজি মুরগি উৎপাদন হয়। তার মধ্যে ২ কোটি ২০ লক্ষ কেজি চাহিদার জোগান দেওয়া হয় রাজ্যে, বাকিটা পাঠিয়ে দেওয়া হয় পাশ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে। এই পরিস্থিতিতে এই ধর্মঘটের কারণে মাংসের জোগান ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তবে পোল্ট্রির আর এক সংগঠন, ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ফেডারেশনের তরফে জানানো হয়েছে, তারা এই ধর্মঘট সমর্থন করে না। পুলিশি জুলুমের নিন্দা করলেও, প্রশাসনের উপর ভরসা করা উচিত। সাধারণ ক্রেতাদের সমস্যা তৈরি করে ধর্মঘট ডাকার বিপক্ষে তারা। ধর্মঘট যদি দীর্ঘদিন চলতে থাকে সেক্ষেত্রে জোগানে ঘাটতি দেখা দেবেই। বাড়বে দামও। জোগানে ঘাটতি পড়তে পারে ডিমেরও। ফলে বাড়তে পারে দাম। এই কারণেই ধর্মঘট নিয়ে কপালে ভাঁজ পড়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।