কোটা বিরোধী আন্দোলনে রীতিমতো উত্তপ্ত পরিস্থিতি বাংলাদেশে (Bangladesh)। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকার (Dhaka) উত্তরা এলাকায় সংঘর্ষের খবর সংগ্রহ করার সময় গুলিবিদ্ধ হন স্থানীয় এক পোর্টালের সাংবাদিক। বছর বত্রিশের মেহেদী হাসান ঢাকা টাইমসের সাংবাদিক বলে খবর। তবে সাম্প্রতিক অতীতে বাংলাদেশে (Bangladesh) কোনও ঘটনায় এত মানুষের প্রাণহানি হয়নি। এদিকে বৃহস্পতিবার সেখানে রাত ৯ টার পর থেকে ইন্টারনেট পরিষেবাও অনিয়মিত হয়ে পড়েছে বলে খবর।

উত্তরা এলাকাতেই বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর সামনে আসে। মৃত্যু হয় মোট পাঁচজনের। এছাড়া চট্টগ্রাম শহর এবং লাগোয়া এলাকাতেও সংঘর্ষ হয়। পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে গোলমালের খবর এসেছে অন্য শহর থেকেও। ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দাবি করেছেন, সংঘর্ষে জড়িতদের বেশিরভাগই ছাত্র নন। হামলাকারীদের তাঁরা চিহ্নিত করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার আন্দোলনকারীরা সারা দেশ স্তব্ধ করার ডাক দিয়েছিল। সেই কর্মসূচি সফল করতে সকাল থেকে আন্দোলনকারীরা অবরোধ, টোল প্লাজা ভাঙচুর, বাসে আগুন, পুলিশের গাড়িতে হামলা শুরু করে। পুলিশ ও বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের জওয়ানদের সঙ্গে তাদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।

এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে ঢাকার রামপুরায় বাংলাদেশের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সদর দফতরে ঢুকে পড়ে আন্দোলনকারীরা। সেখানে পার্ক করা সব গাড়িতে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি ভবন লক্ষ্য করে আগুনের গোলা ছোড়ে তারা। তাতে ভবনের বড় অংশে আগুন লেগে যায়। ভবনের ভিতর আটকে পড়েন কর্মীরা। তারা দমকলকে খবর দিলেও পথ অবরোধের কারণে দীর্ঘ সময় অগ্নিনির্বাপণ বাহিনী আসতে পারেনি বলে খবর। এদিকে আগুনে টেলিভিশন চ্যানেলের অনেকটা অংশ বিকল হয়ে যাওয়ায় সম্প্রচার বন্ধ হয়ে আছে। তবে ঢাকার দমকল বিভাগ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার শহরে আন্দোলনকারীরা মোট ২৫টি জায়গায় আগুন দেয়।

এদিকে, বাংলাদেশ সরকার দুপুরে আন্দোলকারীদের আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিলেও তাতে সাড়া মেলেনি। তবে সরকার আদালতে দ্রুত কোটা বিতর্কের নিষ্পত্তি করতে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে। শীর্ষ আদালত তাতে সাড়া দিয়ে রবিবার কোটা মামলার শুনানি করতে সম্মত হয়েছে।

