Thursday, August 21, 2025

জানতে হবে শহিদ দিবসের ইতিহাস! ‘চায়ের আড্ডা’য় কর্মীদের বার্তা তৃণমূল নেতৃত্বের

Date:

Share post:

রাত পেরোলেই তৃণমূলের (TMC) শহিদ দিবস (Shahid Diwas)। জোরকদমে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলের কর্মী, সমর্থকরা কলকাতায় আসতে শুরু করেছেন। আর শহিদ দিবসকে মাথায় রেখেই শনিবার এক চায়ের আড্ডায় মিলিত হল তৃণমূলপন্থী একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) গ্রুপ। এদিন সকাল ১১টা থেকেই হাজরার সুজাতা দেবী স্মৃতি সদনে শুরু হয়েছে আড্ডা, চলবে বিকেল ৪টে অবধি। অনুষ্ঠানে দলের নেতা, কর্মীদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন দলের উচ্চপদস্থ নেতারাও। ছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (kunal Ghosh), যাদবপুর কেন্দ্রের সাংসদ সায়নী ঘোষ, তৃণমূলের মিডিয়া সেলের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য, কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর তথা দলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী, মুখপাত্র ঋজু দত্ত, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য, যুবনেতা সুদীপ রাহা-সহ বিশিষ্টরা। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে সোশ্যাল মিডিয়ার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানান কুণাল ঘোষ। ২১ জুলাইয়ের প্রাসঙ্গিকতার পাশাপাশি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হার না মানা কঠিন লড়াইয়ের প্রসঙ্গ উঠে আসে কুণালের বক্তব্যে।

কীভাবে মহাকরণ অভিযানে গিয়ে সিপিএমের চরম অত্যাচারের মুখে পড়তে হয়েছিল রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীকে? পাশাপাশি রীতিমতো ক্ষতবিক্ষত হয়েও কীভাবে বামেদের বিরুদ্ধে লড়াই করে ৩৪ বছরের সরকারকে গদিছাড়া করেছিলেন মমতা? এদিন কুণালের কথায় উঠে আসে একাধিক প্রসঙ্গ। পাশাপাশি বর্তমান সময়ে কীভাবে চোখের নিমেষে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্ট সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে তার পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান এই সোশ্যাল মিডিয়াই। এদিন কুণাল মনে করিয়ে দেন, শুধুমাত্র ২১ জুলাইয়ের সভায় গিয়ে মমতা কী বলছেন সেটা যেমন জানা দলের নেতা, কর্মীদের কাছে অত্যন্ত জরুরি ঠিক তেমনই এদিনের পিছনে ১৯৯৩ সালের যে সংগ্রামী, কালো ইতিহাস রয়েছে তাও সমানভাবে জানা উচিত। কুণাল মনে করিয়ে দেন এই ইতিহাস সকলের কাছে চোখের নিমেষে পৌঁছে দিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এর থেকে বড় মাধ্যম আর হতে পারে না। পাশাপাশি কুণাল বলেন, এবছরের শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে মূলত তিনটি বিষয়ে নজর থাকবে- প্রথমত, বাংলাকে তৃণমূলের দুর্গ রাখতে হবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। কোনওরকম অন্যায় হলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে দল। দ্বিতীয়ত, বিজেপি, সিপিএম এর একের পর এক চক্রান্ত ভেঙে চুরমার করে দিতে হবে। তৃতীয়ত বাংলার পাশাপাশি দিল্লির দুর্গেও সমানভাবে নজর দিতে হবে।

অন্যদিকে এদিন যাদবপুরের সাংসদ সায়নী ঘোষ স্পষ্ট জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের ধারা সমস্ত মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সোশ্যাল মিডিয়ার তৃণমূলপন্থী গ্রুপগুলির অবদান অপরিসীম। দলের কর্মীরা যেমন ময়দানে নেমে লড়াই করেন তেমনই মানুষের মনে নিঃশব্দে বিপ্লব ঘটাতে সোশ্যাল মিডিয়ার অবদান অপরিসীম। আগামীদিনে এভাবেই তৃণমূলের আরও উন্নয়নমূলক কাজ যাতে দেশবাসীর কাছে যথাসময়ে পৌঁছে যায় সেবিষয়েও আরও ভালো কাজ করার কথা জানিয়েছেন যাদবপুর কেন্দ্রের নব নির্বাচিত তৃণমূল সাংসদ। অন্যদিকে দলের মিডিয়া সেলের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য জানান, চলতি বছরে বিজেপির ভরাডুবির পিছনে সোশ্যাল মিডিয়ার অবদান বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এটা বর্তমান সময়ে এমন এক প্ল্যাটফর্ম যেখানে মানুষ তাঁদের মতামত জানান। ছবি পোস্ট ও শেয়ারের মাধ্যমে মুহূর্তে তা ভাইরাল করে তোলে। লোকসভা নির্বাচনে দলের ভালো ফলের পিছনে সোশ্যাল মিডিয়ার অবদান ঠিক কতখানি গুরুত্বপূর্ণ এদিন সেকথা মনে করিয়ে দেন দেবাংশু।

প্রতি বছরই তৃণমূলপন্থী সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন গ্রুপ একসঙ্গে মিলিত হয় ‘চায়ের আড্ডা’ শীর্ষক মিলনোৎসবে। সারা বছর ধরে রাজ্যের বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির সঙ্গে লড়াই করে এই গ্রুপগুলি। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কাজের নিরবিচ্ছিন্ন প্রচারেরে পাশপাশি নিজেদের মধ্যে মত বিনিময় করে আগামী দিনে চলার রূপরেখা তৈরি করে। একই সঙ্গে তৃণমূলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্বের পরামর্শ শোনেন সদস্যরা। ২১ জুলাই শহিদ দিবসের আগের দিন তৃণমূলপন্থী সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন গ্রুপকে উজ্জীবিত করতেই এই ‘চায়ের আড্ডা’র আয়োজন।

spot_img

Related articles

খাস শিয়ালদহে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ‘বাংলাদেশী-রোহিঙ্গা’ তকমা! মারধরের অভিযোগ

খাস কলকাতার (Kolkata) বুকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Calcutta University) পড়ুয়াদের বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা বলে হেনস্থার অভিযোগ। ঘটনায় চাঞ্চল্য মহানগরজুড়ে।...

নিরপেক্ষতা, মর্যাদা, আলোচনা: উপরাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়নে সুদর্শন রেড্ডির শপথ

আমার জীবন জনগণের সেবায় নিয়োজিত। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি থেকে শুরু করে একজন আইনের ছাত্র হিসেবে ভারতের গণতান্ত্রিক প্রথা,...

“ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ম্যাচটা নিজেকে প্রমাণ করার ছিল”: জবি জাস্টিন

ইস্টবেঙ্গল (Eastbengal) তাঁকে ছেড়ে দিয়েছিল। একটা সুযোগ খুঁজছিলেন নিজেকে প্রমাণ করার। ডুরান্ডের (Durand Cup) সেমিফাইনালেই প্রাক্তন দল ইস্টবেঙ্গলের...

অভিষেকের পেপটকেই ইস্টবেঙ্গল বধ DHFC-র: ফাঁস করলেন মানস ভট্টাচার্য

প্রথমবার ডুরান্ড খেলতে নেমেই বাজিমাতের পথে ডায়মন্ড হারবার এফসি। আর দলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) পেপটকেই (pep...