সম্প্রতি, লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পর্যালোচনা বৈঠক থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, “জো হামারে সাথ, হাম উনকা সাথ…!” শুভেন্দুর যুক্তি ছিল, বাঙলায় সংখ্যালঘু মুসলিমরা কেউ বিজেপিকে ভোট দেয় না। ৯৫ শতাংশ মুসলিম তৃণমূলকে লোকসভা ভোটেও সমর্থন করেছে। তাই দলের সংখ্যালঘু মোর্চা তুলে দেওয়া উচিত। বিজেপির স্লোগান হওয়া উচিত, “জো হামারে সাথ, হাম উনকা সাথ…!” শুভেন্দুর এহেন মন্তব্যের পর ঘরে বাইরে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। অবশ্য অনেকে তাঁর পাশেও দাঁড়িয়েছেন। দলে যাঁরা শুভেন্দুর বিরোধিতা করেছিলেন, তাঁদের প্রশ্ন, যেখানে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি “সবকা সাথ, সবকা বিকাশ” -এর কথা বলেন, সেখানে শুভেন্দু কোন হরিদাস পাল, যিনি মোদির উল্টোপথে হেঁটে “জো হামারে সাথ, হাম উনকা সাথ…!” স্লোগান দিচ্ছেন?

কিন্তু আজ, তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেটে যেন শুভেন্দুর সম্প্রতি “জো হামারে সাথ, হাম উনকা সাথ…!” স্লোগানের প্রতিফলন! নির্মলা সীতারমনের পাঠ করা এই বাজেট তো দেশের নয়, এই বাজেট অন্ধ্র-বিহার বাজেট! এই বাজেট গদি বাঁচাতে তোষামোদের বাজেট! এই বাজেট লোকসভা ভোটে ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে না পাওয়ার বাজেট। এই বাজেট দুই জোট শরিক চন্দ্রবাবু নাইডু আর নীতিশ কুমারকে আঁকড়ে ধরে তুষ্টি করণের বাজেট। এই বাজেট বিজেপির থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া বাংলার মানুষকে বঞ্চনার বাজেট। “সব কা সাথ, সবকা বিকাশ” নয়, এই বাজেট ফুটে উঠেছে শুভেন্দুর জো হামারে সাথ, হাম উনকা সাথ…! স্লোগানের উদাহরণ।

খুব স্বাভাবিকভাবেই এই বাজেটকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূলের আইটি সেলের ইনচার্জ যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেবাংশুর পোস্ট, “বাজেট প্রমাণ করল, মোদির নীতিতে শুভেন্দু নয়, শুভেন্দুর নীতিতে মোদি চলছেন। কারণ, এই বাজেট প্রকৃত পক্ষেই জো হামারে সাথ, হাম উনকা সাথ স্লোগানের উদাহরণ। কেবল বিহার আর অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য সবটা। বাকিদের ঝুলি শূন্য।”

আরও পড়ুন: Budget 2024: রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট, দিশাহীন, গরিব বিরোধী, জনবিরোধী বাজেট: মুখ্যমন্ত্রী

