শপথ সং.ঘাত নিয়ে বিধানসভায় রাজ্যপালকে তীব্র আ.ক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর

তার প্রশ্ন, আপনার বিরুদ্ধে পেনাল্টি কে দেবে ? ৫০০ টাকা করে পেনাল্টি করেছেন। এটা তো ব্রিটিশ আইন একটা

শপথ সংঘাত নিয়ে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে রাজ্যপালকে তীব্র আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তিনি বলেন, এটা জনতার দরবার, গণতন্ত্রের দরবার। বাংলার সমস্ত ভোট দাতাদের আমার কৃতজ্ঞতা জানাই। বিজেপি সারা দেশে একক সংখ্যগরিষ্ঠতা পায়নি। যদি মিলিয়ে দেখেন পুরো ‘এনডিএ’ ৪৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে। আর ‘ইন্ডিয়া’ জোট আমাদের ভোট মিলিয়ে পেয়েছে ৫১ শতাংশ। আজ মাননীয় অধ্যক্ষ এই বিধায়কদের যে শপথ পাঠ করিয়েছেন সেটা সর্বসম্মতিক্রমে হয়েছে। যদি কারও আপত্তি করার বিষয় ছিল, তাহলে তারা বিধানসভায় উপস্থিত থেকে সেটা করতে পারতেন।

তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমে দেখেছি, মাননীয় রাজ্যপাল যেটা বলছেন সায়ন্তিকা ও রেয়াতের শপথ নিয়ে, তাতে আমি মাননীয় অধ্যক্ষকে সম্পূর্ণ সমর্থন করি। রাজভবন তো সিলেকটেড, বিধানসভা তো ইলেকটেড। যারা আসল খুনি,ডাকাত, যারা নিট কেলেঙ্কারি করে তাদের পেনাল্টি হয় না। আর পেনাল্টি হয় কাদের, যারা সাধারণ মানুষের ভোট নিয়ে জয়ী হয়েছেন। আমি তো কখনও দেখিনি যে একজন সদস্যের শপথ নিয়ে এত জলঘোলা হয়। মঙ্গলবার তিনি স্পষ্ট বলেন, আমি বলবো লাইনে চলুন, বেলাইনে চলবেন না। আপনি কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতি বায়াসড হতে পারেন না। তার প্রশ্ন, আপনার বিরুদ্ধে পেনাল্টি কে দেবে ? ৫০০ টাকা করে পেনাল্টি করেছেন। এটা তো ব্রিটিশ আইন একটা। কিন্তু কখনও কখনও কনভেনশন কে মান্যতা দিতে হয় তার কটাক্ষ, আপনার কি টাকার খুব প্রয়োজন আছে ? আপনার কি জলপানের জন্য টাকার প্রয়োজন ? বলতে পারেন, আমি ব্যবস্থা করে দেবো। হেলাও নয়, ঢোড়াও নয়। নড়েও না, চড়েও না।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, আগেরবার ডেপুটি স্পিকার কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ডেপুটি স্পিকার তো বলতেই পারেন যে আমি আমার উর্ধ্বতন থাকাকালীন এটা করতে পারি না। ডেপুটি স্পিকার সেটাই বলেছিলেন। আপনি একজনকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন, তিনি অধ্যক্ষের হাতে বিষয়টি ছেড়ে দেন। তার স্পষ্ট কথা,মন্ত্রীদের শপথ রাজভবনে হয়, কিন্তু বিধায়কদের শপথ সাধারণত বিধানসভাতেই হয়। এটাই রীতি। বিধানসভার যে আইন রয়েছে, সেই আইন অনুযায়ী মাননীয় অধ্যক্ষ সঠিক কাজ‌ই করেছেন।যারা নতুন জিতেছেন এটা তাদের প্রতি বঞ্চনা। ডিক্টেটরশিপ ফর্মুলা অ্যাপ্লাই করে এটা করা যায় না।

তিনি আরও বলেন,মনে রাখবেন আমরা বিত্তবান হতে চাই না, আমরা আবেগবান হতে চাই, আমরা মানবিক হতে চাই।এই অনভিপ্রেত ঘটনার জন্য আমি অধ্যক্ষের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। অধ্যক্ষ বলেন, আমি মানি যে অধ্যক্ষের চেয়ার সমালোচনার উর্ধ্বে নয়।

 

Previous articleতলানিতে যাত্রী সুরক্ষা! লাগাতার দুর্ঘটনার পরও রেলে নজর নেই নির্মলার
Next articleBudget 2024: কেন বঞ্চিত বাংলা? বৈষম্যের জবাব দেবে মানুষ: তোপ অভিষেকের