শিথিল কারফিউ, ১৯৭ মৃত্যুর স্মৃতি নিয়ে ছন্দে ফেরার চেষ্টায় বাংলাদেশ

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে বুধবার দফতর ও কারখানাগুলি খোলা শুরু হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলেনি

একদিকে সরকারের পক্ষ থেকে কারফিউ শিথিল করার সিদ্ধান্ত। অন্যদিকে আন্দোলনে নামা পডু়য়াদের ৪৮ ঘণ্টা আন্দোলন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত। তারই মধ্যে বুধবার থেকে ছন্দে ফেরার চেষ্টা করল বাংলাদেশ। দোকানপাট খোলার পাশাপাশি খুলল সরকারি ও বেসরকারি দফতরও। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকার পরেও খোলা গেল না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পড়ুয়াদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবারই আন্দোলনকারী ছাত্রসংগঠনগুলি আন্দোলনের আরও ৪৮ ঘণ্টা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষ, সাধারণ পড়ুয়া ও আন্দোলনকারী সহ ১৯৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গেলেও সরকারিভাবে এখনও মৃতের সংখ্যার কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। এর মধ্যে শুক্রবার মৃত্যু হয়েছে সবথেকে বেশি নাগরিকের। উল্টোদিকে তিনজন পুলিশ কর্মীর মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে সরকারের তরফে। আহত পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যা ১১১৭ জন।

এই পরিস্থিতিতে বুধবার বেশ কিছু ব্যাঙ্কের শাখা খুলেছে। বেসরকারি দফতরগুলি খোলার ফলে সাধারণ মানুষও কর্মস্থলের দিকে যেতে শুরু করেন। বাস পরিবহন চালু হওয়ায় একদিকে মানুষ কর্মস্থলের দিকে যাওয়া শুরু করেছেন। অন্যদিকে ছয়দিনের অরাজকতার সময় বিভিন্ন এলাকায় আটকে পড়া মানুষও ঘরে ফেরার পথ পেয়েছেন। অনেকদিন ধরে রুটি রুজি বন্ধ থাকায় বুধবার রাস্তায় প্রচুর পরিমাণে রিক্সা, টোটোর দেখা মেলে। এত যানবাহন একসঙ্গে রাস্তায় নামায় রাজধানী ঢাকা সহ একাধিক এলাকায় দীর্ঘ যানজট দেখা যায়।

সরকারি দফতর খুললেও এদিন সরকারি দফতরগুলির বাইরে প্রচুর পরিমাণে নিরাপত্তা রক্ষী মজুত থাকতে দেখা যায়। পুলিশের পাশাপাশি দেখা যায় সেনাবাহিনীকেও। কয়েকদিনের অরাজকতায় গ্রেফতার হয়েছে প্রায় তিন হাজার মানুষ। নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুষ্ঠু হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে বুধবার দফতর ও কারখানাগুলি খোলা শুরু হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলেনি।

Previous articleমাইক্রোগ্রাভিটিতে উদ্ভিদের জল শোষণ নিয়ে মহাকাশেই নয়া গবেষণায় সুনীতা!
Next articleআলুর আকাশছোঁয়া দাম, মানুষকে স্বস্তি দিতে পদক্ষেপ নবান্নের