পুজোর অনুদানের টাকা প্রতিমা, মণ্ডপে ব্যয় করা যায় না! খরচ কোন খাতে?

এবারও দুর্গাপুজোয় (Durga Pujo) ক্লাবগুলির উদ্যোক্তরাদের জন্য “কল্পতরু” ভূমিকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একলাফে অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছেন পুজো অনুদান। এবার রাজ্যের ৪৩ হাজারের বেশি পুজো কমিটিগুলিকে ৮৫ হাজার টাকা করে অনুদান ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যা বাড়িয়ে আগামী বছর à§§ লক্ষ টাকা করা হবে। ছোট বা মাঝারি পুজোগুলির জন্য এই অনুদান কম নয়। দারুণভাবে উপকৃত হবেন পুজো উদ্যোক্তারা। মুখ্যমন্ত্রীর এমন ঘোষণায় বেজায় খুশি পুজো কমিটিগুলি।

কিন্তু এই অনুদানের কিছু নিয়ম আছে। এই অর্থ নির্দিষ্ট খাতে খরচ করতে হবে। এবং সেই হিসেব প্রশাসনের কাছে জমা করতে হয়। অর্থাৎ, সরকারি এই অনুদান নিজেদের খেয়াল খুশি মতো খরচ করা যায় না। জেনে রাখা দরকার, দুর্গাপুজোর (Durga Pujo) জন্য অনুদান দেওয়া হলেও সে টাকা পুজোয় ব্যয় করা যায় না। অর্থাৎ প্রতিমা কেনা থেকে মণ্ডপ, লাইট, মাইক বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য ব্যয় করা যায় না। এমনকি, দশকর্মা ও পুরোহিতকে এই অনুদান থেকে টাকা দেওয়া যায়না। খরচ দেখাতে হবে সাধারণ মানুষের স্বার্থে কিছু করার জন্য। সেই মর্মে নথিও জমা করতে হবে। তবেই মিলবে পরের বছরের অনুদান।

যখন করোনা ছিল, তখন স্যানিটাইজার, মাস্ক কিনে তার বিল জমা দেওয়া হয়েছিল। গরিব মানুষকে বস্ত্রদানের বিলও দেওয়া গিয়েছিল। প্রথম দিকে অবশ্য হিসাব জমা দেওয়ার এত কড়াকড়ি ছিল না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের পুজো উদ্যোক্তাদের ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া শুরু করেছিলেন ২০১৮ সালে। তখনই পুজো বাবদে বিদ্যুতের বিলে ২৫ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ২০১৯ সালে অনুদানের পরিমাণ ২৫ হাজার টাকা এবং করোনার সময়ে এক লাফে ৫০ হাজার টাকা করা হয়। ২০২২ সালে তা বেড়ে ৬০ হাজার এবং ২০২৩ সালে ৭০ হাজার টাকা করা হয়। এবার অনুদান বেড়ে হয়েছে ৮৫ হাজার টাকা। মাঝখানের সময়ে অনুদানপ্রাপ্ত পুজো কমিটির সংখ্যাও বেড়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী এখন পুলিশের ‘আসান’ অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়। সেখানে একসঙ্গে সব রকম প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পাওয়া যায়। কমপক্ষে দশ বছর ধরে পুজো চলছে, এমন কমিটিগুলি পুজোর অনুদানের আবেদন করতে পারে। গোটা রাজ্যে যত পুজো রয়েছে, তাদের স্থানীয় থানায় হিসাব জমা দিতে হয় পুজোর পরে।

আরও পড়ুন: ঢাকার রাজপথে পুলিশি টহলদারি, মৃত বেড়ে ২০১!