ঝাড়খণ্ড নিয়ে ‘হিন্দুত্বের বিকৃত মার্কেটিং’ নিশিকান্তের, লোকসভার বক্তব্যের পাল্টা তৃণমূল

তাঁর দাবি, “হিন্দুত্বের বিকৃত মার্কেটিং করতে গিয়ে সমাজের ক্ষতি করছে। বিজেপি হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান কারো নয়

এনআরসি (NRC) ইস্যুকে নতুন করে চাঙ্গা করতে নতুন পন্থা বিজেপির। এবার ঝাড়খণ্ডে হিন্দুদের সংখ্যালঘু দাবি করে এনআরসি-র পক্ষে সওয়াল বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের (Nishikant Dubey)। এমনকি তা নিয়ে বাংলার মালদহ (Maldah), মুর্শিদাবাদকে (Murshidabad) কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবিও জানান তিনি। পাল্টা তাদের এই ধর্মপ্রীতিকে ‘বিকৃত মার্কেটিং’ কটাক্ষ তৃণমূলের।

লোকসভাতেও ধর্মীয় রাজনীতিতে সরব বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে ইসলাম ধর্মের মানুষ এসে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) জনসংখ্যা বাড়াচ্ছে। সেই সঙ্গে তাঁরা আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পড়ায় আদিবাসী জনসংখ্যা কমে যাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। এরপরেই তিনি বাংলার দুই জেলাকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (Union Territory) ঘোষণার দাবি জানানোর পাশাপাশি এনআরসি বাস্তবায়নের দাবিও জানান।

দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ নিয়ে বাংলার উপর দোষারোপের যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তার প্রত্যুত্তর বাংলার সরকার দিয়েছে। সীমান্তে অনুপ্রবেশ আটকানো বিএসএফ (BSF)-এর এক্তিয়ার। বারবার তাদের ব্যর্থতা তৃণমূলের পক্ষে থেকে তুলে ধরা হলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Ministry of Home Affairs) তা নিয়ে নিরুত্তর। এরপরেও লোকসভায় দাঁড়িয়ে বিজেপির সাংসদ দাবি করছেন বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ করা মানুষ ঝাড়খণ্ডের জনসংখ্যা বাড়াচ্ছে। তাতেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক কোনও উত্তর দেয়নি।

অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডে যে ধর্মের তাস লোকসভায় নিশিকান্ত দুবে পেশ করেন ও বাংলা ভাগের চক্রান্ত করেন তার সমালোচনায় সরব তৃণমূল। প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ জানান, “বাংলা সম্প্রীতির জায়গা যেখানে মানুষ দুর্গাপুজো, ইদ, খ্রীষ্টোৎসবে যোগ দেন স্বেচ্ছায়। বিজেপির এই দৃষ্টিভঙ্গির (ভেদাভেদ) জন্যই হিন্দুদের ভোটে হারছে বিজেপি।” সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, “হিন্দুত্বের বিকৃত মার্কেটিং করতে গিয়ে সমাজের ক্ষতি করছে। বিজেপি হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান কারো নয়।”

Previous articleবাংলা ভাগের ‘অবাস্তব’ প্রস্তাব দিয়ে বিজেপিতেই কোণঠাসা সুকান্ত
Next articleপরাজয়-গো.ষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকে নজর ঘোরাতে বঙ্গভঙ্গের উ.স্কানি, কুণালের নিশানায় বিজেপি