Saturday, December 6, 2025

ফের চাপে রাজ্যপাল, ন্যায়বিচার চেয়ে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি ‘নির্যাতিতা’র

Date:

Share post:

ন্যায়বিচার চেয়ে রাজভবনের ঘটনা সবিস্তারে জানিয়ে এ বার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বারস্থ হলেন ‘নির্যাতিতা’। সপ্তাহখানেক আগেই ওই মহিলা কর্মী রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ইমেলে পুরো বিষয়টি জানান। এই সপ্তাহে আরও একটি চিঠি পাঠিয়েছেন ‘নির্যাতিতা’। ফলে নতুন করে চাপ বাড়তে চলেছে রাজ্যপাল বোসের? তা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা।

রাজভবনে ‘শ্লীলতাহানি’র মামলাটি এখন সুপ্রিম কোর্টে। এ মাসের গোড়াতেই রাজ্যপাল বোসের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ‘নির্যাতিতা’। গত শুক্রবার মামলাটি প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে ওঠে। মোট তিনটি নির্দেশ দেয় তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সেই নির্দেশে বলা হয়, রাজ্যের উদ্দেশে নোটিস জারি, কেন্দ্রকে যুক্ত করতে অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি বেঞ্চের নির্দেশ, কেন্দ্রের অ্যাটর্নি জেনারেল যাতে এই মামলায় সহযোগিতা করেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।

ঘটনার সূত্রপাত গত ২ মে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজভবনের অস্থায়ী মহিলা কর্মী যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন। কিন্তু সাংবিধানিক রক্ষাকবচ থাকায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগে তদন্ত করা যায় না বলে কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি কলকাতা পুলিশ। খাতায় কলমে অভিযোগ দায়ের না হলেও মহিলার বয়ানের ভিত্তিতে অনুসন্ধান চালিয়ে গিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। ডিসি (সেন্ট্রাল) বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় হন বলেও লালবাজার সূত্রে জানা যায়। পুলিশ উদ্যোগ নিয়ে রাজভবনের সিসি ক্যামেরার কিছু ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযোগকারিণীর বয়ানের সঙ্গে মিলিয়ে দেখার চেষ্টাও করছিল। সেই সঙ্গে মহিলাকে পুলিশের কাছে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রাজভবনের কয়েক জন আধিকারিকের নামে মামলাও রুজু করেছিল পুলিশ। কিন্তু কলকাতা হাই কোর্ট স্থগিতাদেশ দেওয়ায় সেই তদন্ত বন্ধ হয়ে যায়। এর পর গত ৩ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন ‘নির্যাতিতা’। শীর্ষ আদালতের কাছে অভিযোগকারিণীর আবেদন ছিল, সুপ্রিম কোর্ট যাতে বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে কয়েকটি নির্দেশ জারি করে।

প্রথমত, জরুরি প্রয়োজনে তদন্তের স্বার্থে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ যেন রাজ্যপালের বয়ান রেকর্ড করতে পারে। দ্বিতীয়ত, অভিযোগকারিণীকে যেন সুরক্ষা দেয় পুলিশ। তৃতীয়ত, অভিযোগকারিণীর পরিচয় গোপন রাখা হয়নি। এর জন্য যেন তাঁকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। চতুর্থত, ৩৬১ নম্বর অনুচ্ছেদে থাকা রক্ষাকবচ রাজ্যপাল কতটা ব্যবহার করতে পারেন, তা নিয়ে বিধি তৈরি করুক শীর্ষ আদালত।

 

spot_img

Related articles

হাসপাতালের বেডে শুয়ে সন্তানের অপেক্ষায় সোনালি: প্রকাশ করলেন সুপ্ত ইচ্ছা

শুক্রবারই ভারতে ফিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে অন্তঃসত্ত্বা সোনালি খাতুন এবং তাঁর ৮ বছর বয়সী ছেলেকে। রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে...

কার্ল মার্ক্সের শিষ্য অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়! মেয়ো রোডের মঞ্চ থেকে অভিনব খোঁচা কল্য়াণের

বাংলার দক্ষ প্রশাসক মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় একদিকে যেমন বাংলার শান্তি সম্প্রীতি রক্ষায় নিজে সচেষ্ট। তেমনই তাঁর সৈনিকেরাও শান্তি-সম্প্রীতি রক্ষার...

বকেয়া নিয়ে সংসদে ভুল বোঝাচ্ছে কেন্দ্র: দিল্লিতে সরব দুই ডেপুটি লিডার

শুধুমাত্র বাংলা বিরোধী জমিদারি চালে বাংলার প্রাপ্য দিতে নারাজ কেন্দ্রের স্বৈরাচারী বিজেপি সরকার। বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসও ছেড়ে...

বাস্তবিক সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা: মেয়ো রোড থেকে বিভাজনের বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল

দেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ দিন ৬ ডিসেম্বর। প্রতিবছর বাংলার শাসকদল তৃণমূলের তরফে এই দিনটি সংহতি দিবস হিসাবে সম্প্রীতি...