নীতি আয়োগের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান! বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব তৃণমূলের

বিধানসভা ভবন

গত,শনিবার নীতি আয়োগের (Niti Ayog) বৈঠকে বাংলা তথা দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমানের প্রতিবাদে আজ, সোমবার বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। নিন্দা প্রস্তাবের উপর আলোচনায় বক্তব্য রেখেছেন তৃণমূলের বিধায়কেরা। অন্যদিকে, প্রতিবাদ জানিয়ে ওয়াক আউট করেছেন বিজেপি বিধায়কেরা। সোমবার বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনেন তৃণমূকের বর্ষীয়ান বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। তখনই প্রতিবাদ শুরু করেন বিজেপি বিধায়কেরা। অধিবেশন চলাকালীন বিজেপি বিধায়কদের হইহট্টগোল ও আচরণে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “এ সব কী হচ্ছে? আপনারা আলোচনা শুনুন।’’ স্পিকারের বক্তব্যের পর প্রতিবাদ জানিয়ে ওয়াক আউট করে বিজেপি। বাইরে গিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি বিধায়কেরা।

তবে বিজেপি ওয়াক আউট করার পরেও আলোচনা চালিয়ে যান তৃণমূল বিধায়কেরা। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “বাংলার মানুষ বরাবর মমতাকেই চেয়েছেন। নরেন্দ্র মোদিকে সমর্থন করেনি এই রাজ্যের মানুষ। নীতি আয়োগের (Niti Ayog) বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে দেওয়া হবে না, সেটাই স্বাভাবিক। সত্যিটা বিজেপি শুনতে চাইছে না, তাই ওয়াক আউট। ওদের ২০০ কিংবা ৪০০ পারের স্লোগান মুখ থুবড়ে পড়েছে।’ তাঁর সংযোজন, ‘‘আসলে কেন্দ্রীয় সরকার চায়, এই দেশ হোক শুধু কর্পোরেট সংস্থাগুলির জন্য। মমতা তার প্রতিবাদ করেছেন। মোদি ‘মন কি বাত’-এ শুধু নিজের মনের কথা বলেন। আরও কারও কথা শুনতে চান না। এ ভাবে তিনি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে কলুষিত করছেন।’’

বর্ষীয়ান তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গত তিন বছরে বিজেপি বেশির ভাগ সময়েই বিধানসভার বাইরে কাটিয়েছে। কোন কথা অধিবেশনে বলতে হবে, কোনটা বলতে হবে না, তা ওরা জানে না।’’

মানস ভুঁইয়া বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী কোনও অসত্য কথা বলেননি। উনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, তাই বাংলার কথা বলেছেন। শিখাদেবী নিজের কথা জানিয়ে এখান থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু নীতি আয়োগের চেয়ারম্যান কি এখনও মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ করেছেন? মোদী নিজে কি করেছেন?’’ মাইক বন্ধ করে দেওয়ার রেওয়াজ নীতি আয়োগে আগে ছিল না বলেও জানান তিনি। বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যা করেছেন, তা মানুষের স্বার্থে। তিনি আগে প্ল্যানিং কমিশনে কথা বলে বাংলার দাবি আদায় করে আনতেন। এখন তা হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় সরকার স্বৈরাচারী। সারা ভারত এর জন্য ছি ছি করছে।’’

আরও পড়ুন: মেয়াদ শেষ অধীরের, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বাছতে সোমেই বৈঠকে খাড়গে-রাহুলরা