বিদেশিনী স্ত্রীকে জঙ্গলে গাছে বাঁধলেন স্বামী! পরিবারের সন্ধানে পুলিশ

তাঁর থেকে পাওয়া পরিচয়পত্র থেকে জানা যায় তাঁর আমেরিকার পাসপোর্ট রয়েছে। দশ বছর ধরে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হয়ে তিনি তামিলনাড়ুর বাসিন্দা

মহারাষ্ট্রের সিন্ধুদূর্গ এলাকায় জঙ্গলের ভিতর থেকে পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করল সাওন্তওয়াদি এলাকার বন দফতরের কর্মীরা। মহিলার থেকে পাওয়া পরিচয়পত্র থেকে জানা যায় আমেরিকান ওই মহিলার নাম ললিতা কায়ি। তিনি বিবাহসূত্রে তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় তাঁর থেকে কোনও তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি সিন্ধুদূর্গ জেলার পুলিশ। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান তাঁর স্বামী তাঁকে জঙ্গলে বেঁধে রেখে যান।

এক রাখাল জঙ্গলে কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়ে মহিলার কান্নার আওয়াজ পেয়ে ললিতাকে দেখতে পান। তিনি প্রশাসনকে খবর দেন। ৫০ বছর বয়সী মহিলাকে উদ্ধার করে প্রথমে ওরোস জেলা হাসপাতাল ও পরে গোয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তিনি অত্যন্ত দুর্বল ও মানসিকভাবে স্থিতিশীল না হওয়ায় অনুসন্ধানে সমস্যায় পড়ে পুলিশ। পরে তিনি একটি নোট লেখেন। যেখানে তিনি উল্লেখ করেন তাঁর স্বামী তাঁকে গাছে বেঁধে যান। প্রায় দুইদিন তিনি ওইভাবে বাঁধা অবস্থায় ছিলেন। অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

তাঁর থেকে পাওয়া পরিচয়পত্র থেকে জানা যায় তাঁর আমেরিকার পাসপোর্ট রয়েছে। দশ বছর ধরে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হয়ে তিনি তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। কিন্তু তাঁর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। তাঁর থেকে পাওয়া আধার কার্ডের সূত্র ধরে তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার পথ খুঁজছে পুলিশ। সেই সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন দফতরে।

Previous articleদুঃস্বপ্নের রেলসফর, মুম্বইগামী ট্রেন দুর্ঘটনায় স্টেশন মাস্টারের উপরেই দায় চাপাচ্ছে রেল!
Next articleধারাবাহিক দুর্ঘটনায় দুঃস্বপ্নের যাত্রায় পরিণত হচ্ছে রেল সফর! মোদি সরকারকে তোপ তৃণমূলের