গোটা দেশে প্রতিদিন বেলাইন হচ্ছে রেল। টানা সাতদিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় মালগাড়ি বেলাইন হওয়ার পরে মঙ্গলবার যাত্রীবাহী ট্রেন বেলাইন হয়। মৃত্যু হয় দুজনের। বারবার বিভিন্ন দুর্ঘটনার পরে দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে রিল বানানো রেলমন্ত্রীকে তারপর থেকে কোথাও দেখা যায়নি। এমনকি দেশের উদ্দেশেও কোনও বার্তা দেননি তিনি। বুধবার সংসদে ফের তাঁকে সরব হতে শোনা গেলেও দুর্ঘটনা নিয়ে একটি শব্দ খরচ করেননি পদত্যাগের দাবি ওঠা রেলমন্ত্রী। বুলেট ট্রেনের বাহাদুরির দাবি করতে থাকেন তিনি।

বুধবার রাঙাপানির মালগাড়ির বেলাইন হওয়া আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছে একমাস আগের কাঞ্চনজঙ্ঘার দুর্ঘটনা। একই জায়গায় একই লাইনে ফের মালগাড়ি বেলাইন হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীদের পক্ষ থেকে রেলমন্ত্রীর পদত্যাগেরও দাবি করা হয়। তবে বুধবার সংসদে রেলমন্ত্রী জানান ভারতীয় রেলের ইঞ্জিনিয়ারদের পারদর্শিতা অসামান্য। তাঁদের জন্যই দেশে বুলেট ট্রেনের সংখ্যা এত দ্রুত বিভিন্ন এলাকায় বাড়ছে।

সংসদে রেলমন্ত্রী দাবি করেন বুলেট ট্রেন তৈরির জন্য ৪০ মিটারের গার্ডার তোলার ক্রেন প্রয়োজন হয়। ভারতেই এখন সেই ক্রেন তৈরি সম্ভব হচ্ছে। তাঁর বক্তব্যে কোথাও আলোয়ার থেকে পাঁশকুড়া, আলমোড়া থেকে নেলোরে রেল বেলাইন হওয়া নিয়ে একটি শব্দ ছিল না এদিন। উল্টে দেশে কীভাবে বুলেট ট্রেন বাড়াবেন সেই পরিকল্পনার কথা শোনান তিনি। যেখানে প্রতিদিন ট্রেনে সফর করতেই প্রাণের ঝুঁকির ভয় পাচ্ছেন রেলযাত্রীরা, সেখানে পরিকাঠামো ছাড়াই বুলেট ট্রেন বাড়িয়ে আরও যাত্রীদের বিপদে ফেলার পথে রেলমন্ত্রী।
