“আমি ধর্ম নিরপেক্ষ ছিলাম, মরার সময়ও তাই থাকব”!বিধানসভায় আবেগপ্রবণ ফিরহাদ

গত কয়েকদিনের মতো আজ, বৃহস্পতিবারও বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হতেই যখন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) বক্তব্য রাখতে ওঠেন ঠিক তখনই বিজেপি বিধায়করা অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান। ফিরহাদের বক্তব্য শেষ হতেই আবার অধিবেশনে যোগ দেন তাঁরা। এদিন পর পর দু’বার ফিরহাদ বলতে উঠলেই বেরিয়ে যান শুভেন্দু অধিকারীরা। তবে তৃতীয় পর্যায়ে ফিরহাদ যখন বলতে ওঠেন তখন নিজেদের আসনেই বসেছিলেন বিজেপি বিধায়করা। ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।

তখনই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন ফিরহাদ (Firhad Hakim)। বলেন, “মাননীয় সদস্যরা যখন প্রশ্ন করেন তখন উত্তর দিতে হয়। যখন আমি উত্তর দিতে যাচ্ছি, তখন বেরিয়ে যাচ্ছেন। বুকে হাত দিয়ে বলুন তো, আপনারা বিশ্বাস করেন আমি সেকুলার নই? বুকে হাত দিয়ে বলুন তো আমায় ধর্মনিরপেক্ষ ভাবেন কী ভাবেন না? কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গিয়ে কী বলেছি, তা নিয়ে এরকম আচরণ করা হচ্ছে।”

এরপরই শুভেন্দু বলেন, “আপনি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যেতে পারেন। আপনাকে মন্ত্রী বা মেয়র হিসাবে ডেকেছিল। আমরাও সনাতন হিন্দুর কথা বলি। এতে আপত্তির নেই। আমাদের আপত্তি দ্বিতীয় অংশে। আমাদের সেটা মনে হয়েছে এই আহ্বান যথাযথ নয়। আপনি ক্ষমা চাইবেন না, সেটা বলছি না। আপনি দুঃখিত সেটা বলুন। এখানেই মিটে যাবে।”

ফের ফিরহাদ বলেন, “কাউকে আঘাত করার কোনও উদ্দেশ্য আমার ছিল না। আমি ধর্ম নিরপেক্ষ ছিলাম, মরার সময়ও তাই থাকব। আমি এই বিশ্বাসে বড় হয়েছি অন্য ধর্মকে সম্মান জানানো। আমি ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করলেও দুর্গা পুজোয় অংশ নিই। আমার মধ্যে কখনওই অন্য ধর্মকে আঘাত করার উদ্দেশ্য ছিল না।”

এই সময় ফিরহাদ হাকিম যখন বক্তব্য রাখছিলেন, তখন গোটা অধিবেশন কক্ষ ছিল স্তব্ধ। শাসক বা বিরোধী কোনও পক্ষ একটিও কথা বলেনি। বিজেপি বিধায়করাও তাঁকে বাধা দেননি।

আরও পড়ুন:বিধ্বস্ত ওয়েনাড়ে ২ সাংসদের প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী

 

Previous articleবিধ্বস্ত ওয়েনাড়ে ২ সাংসদের প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী
Next articleই-শ্রম পোর্টালে নথিভুক্ত শ্রমিকের সংখ্যা কত, রাজ্যসভায় দোলার প্রশ্নের উত্তর দিলেন রাষ্ট্রমন্ত্রী