বিধ্বস্ত ওয়েনাড়ে ড্রোন উড়িয়ে সার্ভে, মৃতের সংখ্যা ৩০০ ছুঁইছুঁই!

প্রাকৃতিক দুর্যোগের তছনছ হয়ে গেছে ছবির মত ওয়েনাড় (Wayanad)। নিশ্চিহ্ন রাস্তাঘাট, বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ। যেন এক নিমেষে বদলে গেছে রাজ্যের ম্যাপ। ক্ষতির পরিমাণ জানতে ড্রোন উড়িয়ে সার্ভে করা হচ্ছে। দশটা পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯৩। রাতের মধ্যেই এই সংখ্যাটা ৩০০ ছাড়াবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধ্বংসস্তূপে আটকে থাকা মৃতদেহ খুঁজে বের করতে স্নিফার ডগ ব্যবহার করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবারও ভারী বৃষ্টি হয়েছে ওয়েনাড় এবং সংলগ্ন এলাকায়। ভূমিধসের (Landslide ) কারণে কেরালার বাকি অংশ থেকে একপ্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে ওয়েনাড়ের বেশ কয়েকটি গ্রাম। ভেসে গিয়েছে যাতায়াতের রাস্তা। বিধ্বস্ত ওয়েনাড়ে ২ সাংসদের প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (CM)।

৩০ জুলাই ভারী বৃষ্টির জেরে ধস নামে ওয়েনাড়ে। চলছে মৃত্যু মিছিল, ঘর ছাড়া কয়েক হাজার পরিবার। বিপর্যস্তদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। যদিও এত বড় ঘটনার পর দায় এড়াতে কেরালা সরকারের উপর দোষ চাপাতে ব্যস্ত কেন্দ্র। বুধবার অমিত শাহ (Amit Shah) দাবি করেন, রাজ্যকে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল। যদিও শাহের এই দাবি খারিজ করেছেন পিনারাই বিজয়ন। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, ধসের সম্ভাবনা নিয়ে কেন্দ্রের তরফে কেরালাকে কোনও সতর্কবার্তা পাঠানো হয়নি। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন,“কেরালার ওয়েনাড ভূমিধসের খবরে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। এটা সত্যিই মারাত্মক বিপর্যয়। মানবিক কারণে, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের জন্য আমাদের দুই সাংসদ – সাকেত গোখলে এবং সুস্মিতা দেবের একটি দল পাঠাচ্ছি। তাঁরা সেখানে দুই দিন থাকবেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সর্বাত্মক সাহায্য-সহযোগিতা করবেন।আমি মৃতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা জানাই। ক্ষতিগ্রস্তদের সহনুভূতি জানাই।“ এদিন বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী।


Previous articleজীবন বিমা-স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়াম থেকে GST না উঠলে পথে প্রতিবাদ: হুঙ্কার মমতার
Next articleবিতর্কের ইতি: সিংহ-সিংহীর নাম রাখলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী