কেরলের ওয়ানাড়ে আটকে পড়েছেন রাজ্যের ২৪২ জন পরিযায়ী শ্রমিক। তাদের ঘরে ফেরাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সচেষ্ট নবান্ন। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ওয়ানাড়ে আটকে থাকা ১৫৫ জনের সঙ্গে রাজ্য যোগাযোগ করতে পেরেছে। বাকিদের সঙ্গেও আজ রাতের মধ্যেই যোগাযোগ করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী রাজ্য সরকার।

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, আটক পরিযায়ী শ্রমিকদের অধিকাংশই আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমের বাসিন্দা। শুক্রবার বিধানসভায় মন্ত্রী মলয় ঘটক জানান, রাজ্য সরকার সবরকম ভাবে তাদের বিষয়ে খোঁজ রাখছে। তাদের ফিরিয়ে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সুস্মিতা দেব এবং সাকেত গোখলে আজ ওয়ানাড়ে যাচ্ছেন। তারাও পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে ফেরানোর বিষয়ে কথা বলবেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ব্যাপক ভূমিধ্বসে বিধ্বস্ত কেরলের ওয়ানাড়। গ্রামের পর গ্রাম চলে গিয়েছে মাটির তলায়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু করেছে ভারতীয় সেনা এবং এনডিআরএফ। ঘটনার দু’দিন পর ক্ষয়ক্ষতির স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।কেরলের ওয়েনাড়ে ভূমিধসকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়ে গেল। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ৩০৮ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকের সম্পূর্ণ দেহ উদ্ধার করা যায়নি। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে মিলেছে দেহাংশ মাত্র।ড্রোনের মাধ্যমে মৃতদেহের সন্ধান চলছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একাধিক কুকুরকেও এই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সারা দিন চালিয়ার নদীর জলে ভেসে এসেছে একের পর এক দেহাংশ। সেগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। চূড়ালমালা, আত্তামালা, নুলপুঝা এবং মুন্ডাক্কাই গ্রাম দুর্যোগের পর নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে ধ্বংসস্তূপ। কাদামাটিতে এখনও বহু দেহ আটকে আছে বলে আশঙ্কা। মাটি কাটার যন্ত্র দিয়ে দেহ উদ্ধারের কাজ চলছে। মাটি সরতেই বেরিয়ে আসছে দেহ কিংবা দেহাংশ।
