‘পাশে রয়েছে বাংলা’! মৃত্যুপুরী ওয়েনাড়ে পৌঁছে আটকে পড়া শ্রমিকদের আশ্বাস সাকেত-সুস্মিতার

“এই দুর্যোগ মর্মান্তিক ও বিধ্বংসী! আমরা আটকে পড়া শ্রমিকদের (Workers) পাশে দাঁড়াতে এখানে এসেছি। গোটা বাংলাই তাঁদের পাশে রয়েছে।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে কেরলের (Kerala) ওয়েনাড়ে (Waynad) পৌঁছে শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে এমনই বার্তা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সাংসদ সাকেত গোখলে (Saket Gokhle)। শনিবারই তৃণমূলের আরেক সাংসদ সুস্মিতা দেবকে (Susmita Dev) সঙ্গে নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি সরজমিনে খতিয়ে দেখেন সাকেত। পাশাপাশি এদিন সকালেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান দু’জনে।

সূত্রের খবর, শনিবার ওয়েনাড়ের একাধিক আশ্রয় শিবিরে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও জেলা শাসক ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। সাকেত আশ্বাস দিয়েছেন ভয়ের কোনও কারণ নেই পরিযায়ী শ্রমিকদের নিরাপদেই রাজ্যে ফেরানো হবে। অন্যদিকে, এদিন সাংসদ সুস্মিতা দেব এক্স হ্যান্ডেলে জানান কঠিন পরিস্থিতি কাটাতে বর্তমানে ওয়েনাড়ের অনেক শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন। শনিবার আমরা জেলা শাসকের সঙ্গে কথা বলেছি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাও পরিদর্শন করে পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে এদিন সাকেত বা সুস্মিতাই নন এদিন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর।

 

ওয়েনাড়ে মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যে ৩৫০ পেরিয়েছে বলে খবর। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখনও জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। তবে দুর্যোগের জেরে কত মানুষ যে ইতিমধ্যে ঘরছাড়া হয়েছেন তার সঠিক হিসাব দিতে পারছে না স্থানীয় প্রশাসনও। এদিকে ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা! সূত্রের খবর, এ রাজ্যেরও ২৪২ জন পরিযায়ী শ্রমিক আটকে পড়েছেন। ইতিমধ্যেই ১৫৫ জনকে শনাক্ত করা গিয়েছে। তাঁদের উদ্ধার করতে জোর তোড়জোড় শুরু করেছে রাজ্য সরকার। সেকারণেই শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের দুই সাংসদ ওয়েনাড়ে পৌঁছে গিয়েছেন বলে খবর। জানা গিয়েছে, আটক পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে বেশিরভাগই আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমের বাসিন্দা।