জেলায় জেলায় অশান্তি! বাংলাদেশে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, হিংসা থামানোর আর্জি হাসিনার

শনিবার থেকেই থমথমে পরিবেশ বাংলাদেশ (Bangladesh) জুড়ে। নতুন করে অশান্তির কারণে পড়শি দেশ কার্যত অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে। শনিবারই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ডাকা বিক্ষোভের জেরে একাধিক জায়গায় শুরু হয়েছে সংঘর্ষ। রবিবার থেকেই অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেছে কোটা (Quota) সংস্কার আন্দোলনকারীরা। এই বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ডাকা বিক্ষোভ ঘিরে একাধিক জায়গায় সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। ঢাকার পাশাপাশি আন্দোলনের ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশের জেলাগুলিতেও। সূত্রের খবর, ১৩টি জেলায় মৃত্যু হয়েছে মোট ৩২ জনের। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের হাই কোর্টের সাফ নির্দেশ, হিংসা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে পারে। প্রয়োজনে গুলি চালাতে পারে। তবে হিংসার ঘটনা না ঘটলে কোনওভাবেই গুলি চালানো যাবে না।

তবে বাংলাদেশের পড়ুয়াদের দাবি একটাই, শেখ হাসিনা সরকারের অপসারণ। নারায়ণগঞ্জের কায়েমপুর এলাকায় রবিবার সকালে অন্তত তিনটি পোশাক কারখানায় ভাঙচুর করেছে আন্দোলনকারীরা। ফলে কারখানার পাশাপাশি আশপাশের সব কারখানা ছুটি দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শয়ে শয়ে পড়ুয়া চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় যায় এবং রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। এরপর চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্ফু জারি করা হচ্ছে বাংলাদেশে। রাজধানী ঢাকা-সহ সব জেলা সদর, বিভাগীয় সদর, মহকুমা, পুরসভা এলাকা, উপজেলায় জারি কার্ফু। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জারি থাকবে।
এই পরিস্থিতিতে শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য এবং কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ৷ প্রায় তিন ঘণ্টার এই বৈঠকে শিক্ষকরা অশুভ শক্তির হাত থেকে ছাত্রদের বাঁচাতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন ৷ উল্লেখ্য, বিতর্কিত সংরক্ষণ ব্যবস্থা অবসানের দাবিতে ছাত্রদের বিক্ষোভে দিনকয়েক আগেই বাংলাদেশে প্রায় ২০০-রও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ৷ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে লড়াই করা প্রবীণদের আত্মীয়দের জন্য ৩০ শতাংশ সরকারি চাকরি এতদিন সংরক্ষিত ছিল। তারই প্রতিবাদে দানা বাঁধে ছাত্র আন্দোলন৷

Previous articleদলের নির্দেশের পরেই মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত, ক্ষমা চাইতে নারাজ অখিল গিরি!
Next articleশ্রীজেশের হাত ধরে প্যারিস অলিম্পিক্সের সেমিফাইনালে ভারতের হকি দল