একশো টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প পেপারে কন্যা শিশুকে অবৈধভাবে দত্তক নেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ল খণ্ডঘোষে। মা ও বাবার বিরুদ্ধে দায়ের হল এফআইআর। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই দম্পতি ১০০ টাকার ’নন-জুডিশিয়াল’ স্ট্যাম্প পেপারে নিজের শিশু সন্তানের ’দত্তকনামা’ তৈরি করে। অবৈধভাবে শিশু কন্যাকে হস্তান্তরের দায়ে ওই দম্পতির বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর ।

অভিযোগ, ওই দম্পতি ১০০ টাকার ’নন-জুডিশিয়াল’ স্ট্যাম্প পেপারে নিজের শিশু সন্তানের ’দত্তকনামা’ তৈরি করে। খণ্ডঘোষের শাঁকারির বাসিন্দা ওই দম্পতি। তাঁদের ভাইপোর অভিযোগ, বছর বছর একের পর এক সন্তানের জন্ম দিচ্ছে তাঁর কাকা ও কাকিমা। তাঁদের জন্ম দেওয়া সন্তানের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১২ তে ঠেকেছে। দত্তক দেওয়ার নাম করে দম্পতি তাঁদের চারটি সন্তান ’বিক্রি’ করে দিয়েছেন। বাকি আটটি সন্তানকেও বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছেন। খণ্ডঘোষের বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। এমন অদ্ভূত অভিযোগ পেয়ে বিডিও জানান, নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প পেপারে লিখে শিশু দত্তক দেওয়া যায় না। পুলিশ এর তদন্ত করছে। ওই শিশুর মায়ের বন্ধ্যাত্বকরণ করার জন্যে স্বাস্থ্য দফতরকে বলা হয়েছে। চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটিকেও জানানো হয়েছে। জেলার শিশু সুরক্ষা দফতরের আধিকারিক সুদেষ্ণা মুখোপাধ্যায় জানান, বেআইনিভাবে শিশু দত্তক দেওয়া হয়েছে। শিশুটিকে সিডব্লুসি’র কাছে পেশ করার জন্যে বলা হয়েছে।


যদিও দত্তক দেওয়ার নামে শিশু সন্তানকে বিক্রি করার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তারা। শিশুটির মা দাবি করেছেন, তাঁর ১০ টি বাচ্চা। দুটি মারাও যায়। সংসারে অভাব অনটনের জন্যে দুটি বাচ্চাকে অন্যকে মানুষ করতে দিয়েছেন। কাউকে সন্তান বিক্রি করেননি। এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিণ) অভিষেক মণ্ডল জানিয়েছেন, শাঁকারির দম্পতির কাছ থেকে একটি কন্যা শিশু যারা নিয়েছিলেন তারা আমেদাবাদ থেকে আসছেন। তারা ওই শিশু কন্যাটিকে জেলার সিডাব্লুসির কাছে তুলে দেবেন বলে জানিয়েছেন। সিডাব্লুসি এ ব্যাপারে পরবর্তী যা পদক্ষেপ করার করবে।”
