নবান্নের আপত্তি উড়িয়ে ‘দাদাগিরি’! আরও ১.২০ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ার কাজ শুরু DVC-র

0
1

নবান্নের (Nabanna) আপত্তিতে ডোন্ট কেয়ার! সেকারণেই শনিবারের পর রবিবার ও গাজোয়ারি বজায় রাখল ডিভিসি (DVC)। রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই ডিভিসি জল ছাড়ছে বলে শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় (Alapan Banerjee)। আচমকা না জানিয়ে জল ছাড়ার ফলে জেলায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কাও প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও কাজ হল না। নতুন করে আরও ১.২০ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিভিসি। রবিবার সকালে সেই জল ছাড়ার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। যার জেরে দক্ষিণবঙ্গে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রবিবার সকালে মাইথন জলাধার থেকে ছ’হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। পাঞ্চেত জলাধার থেকে ছাড়া জলের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। রবিবার ওই জলাধার থেকে ১ লক্ষ ১৪ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। ফলে মাইথন এবং পাঞ্চেত মিলিয়ে মোট ছাড়া জলের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২০ হাজার কিউসেক। সংশ্লিষ্ট দুটি জলাধারের জল জমা হয় দামোদরের দুর্গাপুর ব্যারাজে। জলের চাপ বেড়ে যাওয়ায় সেখান থেকেও জল ছাড়ার কাজ শুরু হয়েছে বলে খবর।

পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের বাঁধ থেকেও এদিন ছাড়া হয়েছে দল। ঝাড়খণ্ডের উপরে নিম্নচাপ অবস্থান করছে। তার প্রভাবে ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি চলছে। সেখানকার তেনুঘাট জলাধার থেকে শনিবার দেড় লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল। রবিবার সকালেও ৫৫ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে তেনুঘাট। এই জল পাঞ্চেত জলাধারে এসে পৌঁছেছে। সেই কারণেই রবিবার পাঞ্চেত থেকে বাড়তি জল ছাড়তে হয়েছে বলে জানাচ্ছেন আধিকারিকেরা। তবে ফের নতুন করে বৃষ্টি শুরু হলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছে রাজ্যের সেচ দফতর। তবে ডিভিসি নতুন করে জল ছাড়ার ফলে বাঁকুড়া, দুই মে্দিনীপুর, ঝাড়গর্মা, হাওড়া-সহ একাধিক জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।