সিবিআই-এর পরে ইডি-র খাঁড়া, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব জীবনকৃষ্ণকে

বিধায়কের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ না থাকায় সিবিআই তাকে আটকে রাখতে না পারায় এবার সক্রিয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট

সিবিআই হেফাজত থেকে মুক্ত হওয়ার তিন মাসের মধ্যেই ফের ইডি-র তলবের মুখে বড়ঞাঁর (Burwan) বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jibankrishna Saha)। বেআইনিভাবে নিয়োগ মামলায় যে টাকার লেনদেন হয়েছে, তা নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বিধায়ককে। এর আগে এই প্রশ্নের উত্তর পেতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাঁর স্ত্রী টগরী সাহাকেও।

নিয়োগ মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) বাড়ি তল্লাশির পরে নাটকীয়ভাবে গ্রেফতার করা হয় বড়ঞাঁর বিধায়ককে। মে মাসে জেল হেফাজত থেকে মুক্তি পান জীবনকৃষ্ণ। তারপর তিনি স্কুলে যাওয়া শুরু করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন। এবার ফের সেই মামলা নিয়ে রাজ্যে নেতা মন্ত্রীদের চাপে রাখার পথে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। বিধায়কের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ না থাকায় সিবিআই তাকে আটকে রাখতে না পারায় এবার সক্রিয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)।

কেন্দ্রের স্বৈরাচারি বিজেপি সরকার বরাবর এজেন্সি প্রয়োগ করে বিরোধীদের দমন করার পথে হেঁটেছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল থেকে বীরভূম তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই জেলে আটকে রাখতে না পারলে সেখানে এগিয়ে এসেছে ইডি। দুবছর জেলে থাকার পরেও ইডি-র মামলায় জেলবন্দি থাকতে বাধ্য হলেন অনুব্রত মণ্ডল। এবার সেই পন্থা জীবনকৃষ্ণের জন্যও নিতে চলেছে বিজেপি, আশঙ্কা রাজনৈতিক মহলে।

Previous articleবড় পু.রুষাঙ্গ, অলিম্পিক্সে পদক হাতছাড়া ফ্রান্সের অ্যান্থনি আমিরাতির
Next articleরেঞ্জারকে কুকথা! কারামন্ত্রীর ব্যবহারে তীব্র ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী, অখিলকে পদত্যাগের নির্দেশ তৃণমূলের