রেঞ্জারকে কুকথা! কারামন্ত্রীর ব্যবহারে তীব্র ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী, অখিলকে পদত্যাগের নির্দেশ তৃণমূলের

তাজপুরে সমুদ্রপাড়ে বনদফতরের জায়গায় অবৈধভাবে দোকান-ঘর তৈরিতে বাধা দিয়ে কারামন্ত্রী তথা রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরির (Akhil Giri) হুমকির মুখে পড়েন বনদফতরের আধিকারিক মনীষা সাউ (Manisha Sahu)। কুৎসিতভাষায় মহিলা সরকারি আধিকারিককে আক্রমণ করেন কারামন্ত্রী। ঘটনায় তীব্র ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অখিল গিরিকে (Akhil Giri) ফোন করে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। একই সঙ্গে ওই মহিলা রেঞ্জ অফিসারের কাছে অখিলকে নিঃশর্ত ক্ষমাও চাইতে বলা হয়েছে। যদিও শনিবারের ঘটার পরে, রবিবার, কারামন্ত্রী জানান, তিনি ভুল করেছেন। কিন্তু সেই মন্তব্যেও ঔদ্ধত্য ছিল। রেঞ্জারকেই কার্যত ঘটনার জন্য দায়ী করেন রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক। এর পরেই দলের তরফ থেকে তাঁর কাছে কঠোর নির্দেশ যায়।সরকারি জমি জবলদখল নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন থেকে এই বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। এরপরেই রাজ্য়জুড়ে অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। তাজপুরে বন দফতরের জায়গায় আগেই কয়েকটি দোকান ছিল। সমুদ্রের জলে সেগুলি তলিয়ে যায়। শুক্রবার রাতে নতুন করে বনদফতরের জায়গায় দোকান বসান ওই ব্যবসায়ীরা। শনিবার, সেই জবরদখল তুলতে গেলে বনদফতরের আধিকারিক মনীষা সাউকে বাধা দেন রামনগরে বিধায়ক তথা মন্ত্রী অখিল গিরি। শুধু তাই নয়, রীতিমতো মহিলা আধিকারিককে হুমকি দিতে শোনা যায় কারামন্ত্রীকে। এই ঘটনার পরেই তীব্র নিন্দা করে দলের অবস্থান স্পষ্ট করেন কুণাল ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রীও ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা ফোনে কথা বলেন নিগৃহীত রেঞ্জারের সঙ্গে।

রবিবার, ঘটনা নিয়ে দায় সারা প্রতিক্রিয়া দেন অখিল। বলেন, “আমি একটু রাগান্বিত হয়ে যে কথা বলে ফেলেছি, যে আচরণ করে ফেলেছি, সেটা ঠিক নয়। সেই কথাটা বলা অনুচিত। এক জন আধিকারিককে যে কথা বলেছি, সেটা নিশ্চিত ভাবে আমার বলা ঠিক হয়নি।” কিন্তু একইসঙ্গে ওই মহিলা আধিকারিকের উপর দোষ চাপান কারামন্ত্রী। তিনি বলেন, ওই মহিলা পদাধিকারীর আচরণ খারাপ ছিল। তাঁর কথায়, “সে সময়ে যদি বিষয়টা আমি হাতে না নিতাম, তাহলে গ্রামে অন্য পরিস্থিতি তৈরি হত। একেবারে তিন চারশো লোক ঝাঁপিয়ে পড়ত।”

অখিলের এই আচরণে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। ফোন যায় কারামন্ত্রী অখিল গিরির কাছে। দলের তরফে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি অখিলকে ফোন করে পদত্যাগের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি ওই মহিলা আধিকারিকের কাছে ক্ষমা চাওয়ার কথাও বলেন।






Previous articleসিবিআই-এর পরে ইডি-র খাঁড়া, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব জীবনকৃষ্ণকে
Next articleসুপ্রিম কোর্টে অযোগ্যদের তালিকা দিল এসএসসি