বাংলার  ফল ও খাদ্য উৎসব- ২০২৪: ফল ও খাবারে বৈচিত্র্যে উদযাপন

এই উৎসব কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ৯ থেকে ১১ অগাস্ট হচ্ছে।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যান পালন দফতর ” বাংলার ফল ও খাদ্য উৎসব- ২০২৪” উদযাপনের আয়োজন করেছে। বাইরের দেশের ফল, আঞ্চলিক পণ্য এবং বিভিন্ন ধরনের খাদ্য প্রক্রিয়াকে তুলে ধরবে।

এই উৎসব কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ৯ থেকে ১১ অগাস্ট হচ্ছে। এই উৎসব – এর উদ্দেশ্য হল উদ্যানপালনের সার্বিক উন্নয়ন ও বিকাশ এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে উদ্বৃত্ত উৎপাদনের সংরক্ষণ ও তার প্রদর্শনী ও এর মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে উৎসবের বার্তা তুলে ধরা।

৯ আগস্ট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দফতরের আটজন মন্ত্রী এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যান পালন দফতরের মন্ত্রী অরূপ রায় উপস্থিত থাকবেন। উৎসবে প্রতি সন্ধ্যায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকবে। আমাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্বপন বসু – গায়ক, প্রণতি ঠাকুর আবৃত্তিকার, সতিনাথ মুখোপাধ্যায় আবৃত্তিকার, সৌমি ঘোষ – গায়িকা,  অলোক রায় চৌধুরী এবং আরও অনেকে।

৯ আগস্ট থাকছে দর্শক ক্যুইজ। ১০ আগস্ট, দুটি আলোচনা চক্র-

১। Steps to Enhance Horticultural Crop Cultivation in Response to Climate Change

২। Benefits and scope of Food Processing in West Bengal- 2024

১১ আগস্ট, রান্নার প্রতিযোগিতা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন  শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, মাননীয় ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী, কৃষি বিভাগ। বিশেষ অতিথি হিসাবে থাকবেন  মলয় ঘটক, মাননীয় ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী, বিচার বিভাগ, শ্রম, আইন বিভাগ। প্রদীপ কুমার মজুমদার, পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ উন্নয়ন বিভাগ ও কো-অপারেশান বিভাগ। বিপ্লব মিত্র, মন্ত্রী, উপভোক্তা বিষয়ক বিভাগ। – বিশেষ অতিথি । স্বপন দেবনাথ, মন্ত্রী, প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন বিভাগ। মহঃ গোলাম রব্বানী, মন্ত্রী, পরিবেশ অধিদপ্তর। বিপ্লব রায়চৌধুরী, প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত), মৎস্য, অ্যাকুয়াকালচার, জলজ সম্পদ এবং ফিশিং হারবার বিভাগ।  বেচারাম মান্না, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত), কৃষি বিপণন বিভাগ।

এই উৎসব কে আরও সমৃদ্ধ করার উদ্দেশ্যে কিছু স্টল দেওয়া হচ্ছে। দেখে নিন তার এক ঝলকঃ

১) ১৫ টি স্টল উদ্যানপালন ও খাদ্য প্রক্রিয়া করণ অধিদপ্তরকে যৌথ ভাবে দেওয়া হয়েছে। এখানে, জনসাধারণ বিভিন্ন জেলার উদ্যানগত উৎপাদন চাক্ষুষ করতে পারেন, যেমন বিদেশী ফল থেকে শুরু করে দেশি সবজি, যেমন ড্রাগন ফল, মাশরুম, চন্দ্রমল্লিকা, ফলের শরবত, শুকনো আম ইত্যাদি। এছাড়া প্রক্রিয়া জাত খাদ্য পণ্য – যেমন জ্যাম, জেলি, আচার, কেক, চকোলেট, ক্যানড আনারস ইত্যাদি। এটি প্রক্রিয়াজাত খাবার, মশলা এবং ভেষজ, শাকসবজি এবং ফল, দুগ্ধজাত পণ্য, মিষ্টি, মাংস, আইসক্রিম, মিষ্টান্ন, রেস্তোরাঁ প্রভৃতির আয়োজন করবে।

২)  খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প অধিদপ্তর থেকে PMFME, WB Food processing Insentive Scheme 2021 প্রদর্শনীর একটা প্যাভেলিয়ন থাকবে।

৩) সিঙ্কোনা ও অন্যান্য ওষধি সংক্রান্ত অধিদপ্তরকে যে স্টল বরাদ্দ করা হয়েছে যেখানে গোল মরীচ, বড় এলাচ, কফি, লেমন গ্রাস, মেন্থা তেল, সিনকোনা বার্ক, সাইট্রন এবং কালো বেরি জাতীয় জিনিস বিক্রি করা হবে।

৪)  কৌতূহলীদের জন্য অধিদপ্তর এবং কর্পোরেশন দ্বারা একটি প্যাভেলিয়ন হোস্ট করা হবে। যেখানে বই, ম্যাগাজিন ইত্যাদি থাকবে।

অন্যান্য দফতর থেকে যে স্টলগুলি দেওয়া হবে –

১)  পশ্চিমবঙ্গ স্বরোজগার কর্পোরেশন লিমিটেড: এই সংস্থাটি সম্ভবত স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হস্তশিল্প, তাঁত পণ্য এবং কারিগরি সামগ্রীর স্টল প্রদর্শন করবে যা গ্রামীণ উদ্যোক্তাদের দক্ষতা এবং প্রতিভাকে তুলে ধরে।

২)  আনন্দধারা : স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে গ্রামীণ উন্নয়নের জন্য পরিচিত আনন্দধারা বিভিন্ন হস্তনির্মিত পণ্য, জৈব পণ্য এবং গ্রামীণ কারুশিল্পের স্টল উপস্থাপন করতে পারে যা গ্রামীণ বাংলার সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি প্রতিফলিত করে।

৩)  মৎস্য বিভাগ: পশ্চিমবঙ্গের প্রচুর মৎস্যসম্পদ থেকে বিভিন্ন ধরনের তাজা এবং প্রক্রিয়াজাত খাদ্য পণ্য থাকবে।

৪)  সুন্দরবন কো-অপারেটিভ মিল্ক অ্যান্ড লাইভস্টক প্রডিউসারস ইউনিয়ন লিমিটেড: এই সংস্থা দুগ্ধজাত পণ্য যেমন দই, ঘি এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পনিরের স্টল প্রদর্শন করতে পারে।

৫)  সুফল বাংলা (কৃষি): সুফল বাংলায় তাজা ফল, শাকসবজি এবং সরাসরি স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে পাওয়া জৈব পণ্যের স্টল থাকতে পারে। এটি দর্শকদের সাথে বাংলার কৃষি কেন্দ্রের সাথে সংযোগ করার একটি সুযোগ।

৬)  উপভোক্তা বিষয়ক বিভাগ: এই বিভাগের স্টলগুলি উপভোক্তাদের শিক্ষা এবং সচেতনতার উপর ফোকাস করতে পারে। তারা তাদের অধিকার, ন্যায্য বাণিজ্য সম্পর্কে তথ্য দিতে পারে।

এবং অন্যান্য কিছু স্টল (আনুমানিক ৩০) বাণিজ্যিক সংস্থা দ্বারা হোস্ট করা হবে যেখানে খাবার, মিষ্টান্ন এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক আইটেম বিক্রি করা হবে।

এই ইভেন্টগুলির লক্ষ্য শুধুমাত্র বিনোদনই নয়, উদ্যানপালন এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের কৌশলগুলির উপর আলোচনা করে মানুষকে শিক্ষিত করা এবং অনুপ্রাণিত করা।

 

 

Previous articleবিশ্ব আদিবাসী দিবসে আজ ঝাড়গ্রামে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী
Next articleবুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শেষ বিদায়ে গান স্যালুটে আপত্তি সিপিআইএমের